নূরুল জান্নাত মান্না কিশোরগঞ্জ থেকে: অসময়ে টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত ২৪ ঘণ্টায় কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।
হাওর এলাকার সমস্ত নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি এখনো অব্যাহত আছে। এর ফলে তলিয়ে গেছে আরো চার হাজার হেক্টরের বেশী জমির বোরো ফসল। কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে অকাল বন্যায় আজ পর্যন্ত ৫৭ হাজার ২৭ হেক্টর জমির বোরো ফসলের জমি তলিয়ে গেছে। তবে চাষীদের দেওয়া বক্তব্য ও অন্যান্য সূত্রের খবর অনুযায়ী এর পরিমাণ প্রায় ৭৫ হাজার হেক্টর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিরুপায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে পানির নিচ থেকে তুলে আনছেন নষ্ট হয়ে যাওয়া আধা-পাকা ধান। ইতিমধ্যে ইটনা ও মিঠামইনের প্রায় সবগুলো প্রতিরক্ষা বাঁধই ভেঙে গেছে। বছরের ছয় মাস পানির নিচে থাকা এসব এলাকায় বছরের একমাত্র ফসল হারিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন সাধারণ কৃষকরা। প্রশাসন থেকে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়েছে, এ জেলার ১৩ টি উপজেলার মধ্যে ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বোরো ধানের জমি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা।
জেলা প্রশাসক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস জানান, সরকার আগামী তিনমাস ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ হাজার কৃষক পরিবারকে প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল ও নগদ ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। কৃষি বিভাগ বলছে, গতকাল পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে সরকারি হিসাবে চাল উৎপাদনে ক্ষতির পরিমাণ দুই লাখ এক হাজার তিনশ পাঁচ মেট্রিক টন। যার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে আটশ পাঁচ কোটি বাইশ লক্ষ টাকা।
এসএস/