শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

বয়স ৯৫, সাইকেল চালিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছেন জহিরন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কিছু দিন আগে ভারতের থেকে গ্রামের অসহায় মানুষদের বাইকে করে স্বাস্থ্যসেবা দেবার জন্য পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন বছর ৫০ এর করিমুল হক। আর এবার এক নারী দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে বাইসাইকেল চালিয়ে গ্রামের অসহায় মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছেন।

কিন্তু ভারতে নয়, ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে নাম জহিরন বেওয়া , বয়স ৯৫ বছর । এ বয়সে বাড়ির বারান্দায় কিংবা কোন গাছের ছায়ায় বসে নাতি-নাতনিদের রূপকথার গল্প শোনানো অথবা তাদের খেলাধুলা দেখে সময় কাটানোর কথা। কিন্তু তা না করেই প্রতিদিন ছুটে বেড়াচ্ছেন গ্রামের পর গ্রাম মাইলের পর মাইল।

কারো অসুস্থতার সংবাদ পেলেই খাওয়া –দাওয়া ভুলে বাইসাইকেলে চড়ে ছুটে যান সেই রোগীর বাড়িতে চিকিৎসার সেবা দিতে। স্বামী নেই, মারা গিয়েছে ১৯৬৮ সালে ।তিন ছেলে আর দুই মেয়েকে নিয়ে তার সংসার। বছর আটেক আগে মারা যান তার বড় ছেলে । ছোট ছেলে তোরাব আলীর বয়স ৫৯। সংসারে এই সংগ্রামী নারী এখনো সচল, সজাগ আর কর্ম-উদ্যমী হয়ে বেঁচে আছেন।

সমাজের প্রচলিত রীতিনীতি ভেঙে ১৯৭৩ সালে জহিরন পরিবার পরিকল্পনার অধীনে স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। পরে নিজ গ্রামসহ আশ-পাশের গ্রামগুলোতে সাইকেল চালিয়ে গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতেন। ২০০ থেকে ৩০০ অবশেষে ৫০০ টাকা মাসিক মজুরি পেয়ে ১০ বছর চাকরি করে অবসরে যান জহিরন।কিন্তু এখনও তিনি মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান অর্থাৎ ৪৪ বছর ধরে জহিরন বেওয়াকে দেখা যায় বাই সাইকেল চালিয়ে গ্রামের পর গ্রাম মাইলের পর মাইল ঘুরে ঘুরে গ্রামের অসহায় মানুষগুলোকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছেন ।

তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন সাইকেল চালিয়ে কমপক্ষে ৭টি গ্রামে ৭০টি বাড়িতে যাই। তাদের খোঁজখবর নিই।
তার এই অসীম সাহস, সমাজের প্রতি নিবিরভাবে কর্মক্ষমতাকে জানাই স্যালুট ।

৭ ক্ষ্যাপাটে বিশ্বনেতা


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ