লক্ষ্মীপুরে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি বর্ষণে নিন্মাঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার হেক্টর ফসলি জমি ডুবে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে চাষকৃত সয়াবিন, বাদাম, মরিচ, ডালসহ বিভিন্ন রবি শষ্য। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে যে ফসল ঘরে তুলতে পারতো কৃষকরা। এখন সেই ফসল পানির নিচে তলিয়ে থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্থরা।
স্থানীয়রা জানান, লক্ষ্মীপুরে গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি, ভারী বর্ষণ চলছে। এছাড়া চলতি মৌসুমে আগাম বৃষ্টিতে মেঘনা উপকূলীয় এ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। আবাদী জমিতে পানি জমে পঁচন ধরেছে সয়াবিন, বাদাম, মরিচ, ডালসহ বিভিন্ন ফসলে। সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ, তোরাবগঞ্জ, পেয়ারাপুর, টুমচর, কমলনগরের মতিরহাট ও রামগতি এলাকার নিম্নাঞ্চলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার অন্তত ২০ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন সয়াবিন ও বাদাম চাষীরা । বিভিন্ন এনজিও, সমিতি ও স্থানীয়দের কাছ থেকে ধার দেনা করে চাষাবাদ করে ফসল তোলার আগমুহুর্তে এসে এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষীরা। সরকারি সহায়তার দাবি জানান অনেকে।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ গোলাম মোস্তফা জানান, “অতিবৃষ্টির কারণে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর ফসলি জমি জলাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতির প্রতিবেদন উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পঠানো হয়েছে, কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ, আর সরকারি সহায়তা পেতে ক্ষতিগ্রস্থদের চুড়ান্ত তালিকার পর বরাদ্ধ প্রাপ্তি নিশ্চিত হওয়া যাবে। ”
[হাওড়ে ৫০ মেট্রিক টন মাছ মরে গেছে]
এসএস/