মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সৌদির সেবা কোম্পানির সঙ্গে হজ এজেন্সির চুক্তির নির্দেশনা মহেশখালী থানার বিশেষ অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত ১১ জন আসামি গ্রেফতার বৃষ্টির সময় কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় ওমরা পালনকারীদের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে রোপা আমন ধান কাটা শুরু চাঁদপুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহর সাফল্য বগুড়ায় আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত

নারীর যৌন নিগ্রহ! বিশ্ব ও বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পলাশ রহমান
সাংবাদিক

মানুষের মধ্যে জন্মগত যে সব অন্যায় প্রবণতা থাকে তার মধ্যে অন্যতম একটা হলো পুরুষ সুযোগ পেলেই নারীকে যৌন নিগ্রহ করে। এটা অন্যায়, আর এই অন্যায় প্রবণতা জন্মগত। নারীর মধ্যেও এই প্রবণতা আছে, তার ধরণ অন্য রকম। পুরুষের মতো এত হিংশ্র না। নারীকে নিগ্রহ বা নির্যাতন করার মতো লাখ লাখ অন্যায় প্রবণতা মানুষের মধ্যে আছে। এসব প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রতিটা সভ্য সমাজে দুইটা অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।

এক. নৈতিকবোধ জাগ্রত করা। দুই. আইনের শাসন কায়েম করা। আমাদের দেশে এ দুটির কোনোটাই নেই।

মানুষের নৈতিকবোধ জাগ্রত হয় সবচেয়ে বেশি ধর্মচিন্তার মাধ্যমে। আমাদের দেশ থেকে ধর্মচিন্তাকে ঝেটিয়ে বিদায় করার সকল আয়োজন এখন ঘরে ঘরে। স্বয়ং রাষ্ট্রযন্ত্রের অবস্থান ধর্মচিন্তার বিরুদ্ধে। যারা প্রতিদিন পাকাপাকা কথা বলেন তারাও প্রায় সবাই ধর্মচিন্তার বিরুদ্ধে। তারা মানুষের নৈতিকতা খোঁজেন কথিত মুক্তচিন্তার মধ্যে। তাদের মুক্তচিন্তা বা মুক্তবু্দ্ধি যে তাদের নিজেদের মধ্যে কতোটা নৈতিকতা বা সভ্যতার জন্ম দিয়েছে তা বোঝা যায় তসলিমা নাসরিনের 'ক' বইটা পড়লে।

প্রতিটা ভিড়েই নারীরা নিগ্রহের শিকার হয়। ছেলে পুলেরা সুযোগ পেলেই তাদের শরীরে হাত দেয় এ যেনো প্রথা হয়ে দাড়িয়েছে। অথচ এই অসুস্থতা থেকে বেরিয়ে আসার, নিয়ন্ত্রণ করার সুষ্ঠ চিন্তা কেউ করে না। সাময়িক হৈচৈ করে মজা নেয়

ইউরোপ আমেরিকাও তাদের সমাজ থেকে ধর্মচিন্তাকে নিপাত করেছে কিন্তু তারা তাদের সমাজে আইনের শাসন কায়েম করতে পেরেছে। তারা শক্ত আইন করে এবং তার যথাযথ প্রয়োগ করে তাদের নাগরিকদের মধ্যে এই বিশ্বাস জন্ম দিতে পেরেছে যে নারী নিগ্রহের মতো অপরাধ করলে কোনো ভাবেই রক্ষে নেই, শাস্তি পেতেই হবে। আমাদের রাষ্ট্রে কী আইনের শাসন আছে? আমাদের নাগরিকরা কী বিশ্বাস করে নারী নিগ্রহ করলে শাস্তি তাকে পেতেই হবে?

এতএত আইন থাকার পরেও ইউরোপ আমেরিকায় এখনো প্রতিদিন নারীরা নিগ্রহের শিকার হয়। সুযোগ পেলেই পুরুষরা তাদের একটু ধাক্কা দেয়। শরীর ছুঁয়ে হেটে যায়। সহযোগিতার নাম করে কাছাকাছি যেতে চেষ্টা করে। বৃদ্ধরা মা ডেকে পিঠে হাত বোলায়। এদিক থেকে নারীরাও কম না। তারাও নানা ভাবে, নানা কায়দায় পুরুষকে আকৃষ্ট করে, উগ্র হতে আহবান করে।

আমাদের দেশেও একই অবস্থা। প্রতিটা ভিড়েই নারীরা নিগ্রহের শিকার হয়। ছেলে পুলেরা সুযোগ পেলেই তাদের শরীরে হাত দেয় এ যেনো প্রথা হয়ে দাড়িয়েছে। অথচ এই অসুস্থতা থেকে বেরিয়ে আসার, নিয়ন্ত্রণ করার সুষ্ঠ চিন্তা কেউ করে না। সাময়িক হৈচৈ করে মজা নেয়।

ইউরোপ আমেরিকারা আইনের শক্ত শাসন কায়েম করে নিগ্রহ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। তারা আরো একটা কাজ (অকাজ) করেছে- নারীকে, নারীর শরীরকে তাদের সমাজে অতি সহজ করে দিয়েছে। তারা মনে করে মেলামেশায় সম্মতি থাকলে সেটা 'অপরাধ' না । অসম্মতির মেলামেশাকেই তারা অপরাধ বলে গন্য করে।

এটা করে তারা নারী নির্যাতন রোধ করতে চেয়েছে, নারীকে অধিকার দিতে চেয়েছে কিন্তু তা কী পেরেছে? পারলে এসব দেশে এখনো কেনো প্রতিদিন শতশত নারী নিগ্রহ বা নির্যাতনের মামলা হয়? পথে ঘাটে কাজে কর্মে কেনো নারীরা পুরুষের অযাচিত ধাক্কা খায়? নারীকে সহজ করে তারা যা পেরেছে তা হলো নারীকে বানিয়েছে সত্যিকারের পন্য। আমাদের দেশেও এই প্রতিযোগিতা চলছে হরদম।

বাহাসের যুগ পেরিয়ে টকশো এবং আমাদের প্রস্তুতি!


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ