সিরিয়ার আলেপ্পোয় শক্তিশালী গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে ১০০ জন। গুরুতর আহত আরো ৫৫ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিরিয়া সরকার ও বিদ্রোহীদের চুক্তি অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত চার শহর থেকে প্রায় ১০,০০০ সরকারপন্থী মানুষ স্থানান্তরিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সেইমতো দেশের উত্তর পশ্চিমের শিয়া অধ্যুষিত আল ফুয়া এবং কাফরিয়া শহর থেকে শিশু–মহিলা ও পুরুষ মিলিয়ে প্রায় ৫০০০ মানুষকে নিয়ে আলেপ্পোর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ৭৫টি বাসের কনভয়। শনিবার রাশিদিন এলাকায় কিছুক্ষণের জন্য থেমেছিল বাসগুলি। তখনই বিস্ফোরণ ঘটে।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের দাবি, বিস্ফোরণের পর ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা এলাকা। আতঙ্কে চিৎকার জুড়ে দেন যাত্রীরা। জামা–কাপড়ে আগুন ধরে যায় অনেকের। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিরীয় বাহিনীর একটি দল। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ধ্বংসাবশেষের মধ্য থেকে প্রায় ১০০টি মৃতদেহ টেনে বের করা হয়। গুরুতর জখমদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
সিরীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, সাধারণ মানুষ সহ শনিবারের বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছে বাসে উপস্থিতি বিদ্রোহীরাও। এক যাত্রীর মোবাইল ক্যামেরায় অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর মৃতদেহ ধরা পড়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও সংগঠন হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে আত্মঘাতী জঙ্গি এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন দেশের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থার ডিরেক্টর রামি আব্দুল রহমান।
হামলায় সিরীয় সরকারের ভূমিকা অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, ‘হাতে উন্নত ধরনের অস্ত্র থাকতে আসাদ বাহিনী এ ধরণের বিস্ফোরণ ঘটাতে যাবে কেন? আর নিজের সমর্থকদের মারবেই বা কেন? এক আত্মঘাতী জঙ্গিই এই হামলা ঘটিয়েছে। খাবার কেনার বাহানায় বাস থেকে নেমেছিল সে। তখনই পেট্রোল পাম্পের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটায়।’
বিস্ফোরণের পর স্থানান্তরণের কাজ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকলেও, কয়েক ঘণ্টা পরই ফের স্থানান্তকরণ শুরু হয়। শনিবার ভোর রাতে আলেপ্পো এসে পৌঁছয় বিস্ফোরণে অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া বাসগুলি। জেবরিনের উদ্দেশে রওনা দেওয়া যাত্রীরা আপাতত অস্থায়ী আবাসন কেন্দ্রে ঠাঁই পেয়েছেন। সেখানে খাবার ও চিকিৎসা পরিষেবা মিলছে।
১০১ দেশের ৬শ মানুষকে নাস্তা করিয়ে দুবাইয়ের বিশ্ব রেকর্ড!
সিরিয়া ইস্যুতে আমেরিকাকে ইরান ও রাশিয়ার কঠোর হুঁশিয়ারি