সদ্যভূমিষ্ট শিশুকে প্রথমে গলা টিকে হত্যা চেষ্টা করা হয়, মৃত ভেবে ফেলে দেয়া হয় ডাস্টবিনে। কিন্তু ‘আল্লাহর যাকে বাঁচান’ বলে একটা কথা রয়েছে, সেটা রুখতে পারে কে?
ডাস্টবিন থেকে শিশুটি এখন একটি নিরাপদ কোল পেয়েছে। যেখানে সে বেড়ে উঠবে শিশুর অধিকার নিয়েই।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ঘটনা এটি। ডাস্টবিনে পাওয়া ওই নবজাতককে দত্তক নিতে এক দম্পতি সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।
ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার রাত ৯টায় মেকানিক আলমগীর মিয়া ফতুল্লা ডিআইটি মাঠের পাশ দিয়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলেন। হঠাৎ ডাস্টবিনের ভেতর থেকে শিশুর কান্না শুনে থমকে যান তিনি।
ডাস্টবিনে তল্লাশি করে একটি বাজারের চটের থলে থেকে সদ্য ভূমিষ্ট এক নবজাতক কন্যাকে উদ্ধার করেন তিনি। তাকে প্রথমে থানায়, সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আলমগীর হোসেন নিজেই নবজাতককে দত্তক নিতে একটি জিডি করেছেন বলে জানান সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ।
নারায়ণগঞ্জ শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের দোতলায় লেবার ওয়ার্ড-১ এর দায়িত্বরত চিকিসৎক জহিরুল ইসলাম জানান, শিশুটি খোলা আকাশের নিচে পড়ে ছিল। তাই ঠা্ণ্ডা লেগে গেছে। ধারণা করছি- শিশুটিকে জন্মের পর গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। মারা গেছে মনে করেই ডাস্টবিনে ফেলে গেছে।
তিনি জানান, প্রকৃতপক্ষে শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল। গলায় অসংখ্য দাগ রয়েছে। তাই পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
আলমগীর ফোনে জানান, তিনি ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ির ভাড়াটিয়া। তার স্ত্রীর নাম লিপি বেগম। তিনি পেশায় একজন মেকানিক। তার একটি ছেলে সন্তান আছে। মেয়ে সন্তান না থাকায় তিনি নবজাতকটিকে দত্তক নিতে আবেদন করেছেন।
তিনি জানান, তার আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতেই পুলিশ ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইনগত বিষয় সম্পন্ন করেছেন। শিশুটি অসুস্থ থাকায় এখন পর্যন্ত হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
আরআর
বন্ধ করে দেয়া হলো ভেনিস জামে মসজিদ
ইন্ডিয়া; প্রতিমার সামনে মাকে বলি