আওয়ার ইসলাম: শনিবার নয়া দিল্লিতে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদী শীর্ষ বৈঠকের আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শ্রীপ্রিয়া রঙ্গরাথনকে উদ্ধৃত করে এই খবর দিয়েছে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার।
বহুল আলোচিত প্রতিরক্ষা খাতে চুক্তি, না সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)- তা কোনো পক্ষ থেকেই স্পষ্ট করা হচ্ছিল না। নয়া দিল্লির সাউথ ব্লকের বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঙ্গনাথনের কথায় তা স্পষ্ট হল।
শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথন বলেছেন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে মোট দুটি সমঝোতাপত্র হবে।
দুই দেশের মধ্যে চলতি সামরিক সহযোগিতাগুলোকে একটি ছাতার তলায় নিয়ে এসে একটি সামগ্রিক ‘ফ্রেমওয়ার্ক’ তৈরি করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে সাবমেরিন-প্রশিক্ষণ, তথ্য সহযোগিতা, উপকূলরক্ষীদের মধ্যে সহযোগিতা, সেনাপ্রধান পর্যায়ে আদানপ্রদানের মতো বিষয়।
এ ছাড়া ভারত থেকে সমরাস্ত্র এবং সামরিক প্রযুক্তি কেনার জন্য বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
শেখ হাসিনার এই সফরে তিস্তা চুক্তি না হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষা চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করে বলা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব খর্বের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তির পর নয়া দিল্লির পক্ষ থেকেও তেমন চুক্তির প্রত্যাশা ছিল।
সেক্ষেত্রে এই দফায় চুক্তির পথ থেকে সরে আসার কারণও ব্যাখ্যা করেছে আনন্দবাজার।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারকে দেশে কোনো ধরনের চাপে ফেলতে চাইছে না নরেন্দ্র মোদীর সরকার। পাশাপাশি ঢাক-ঢোল পিটিয়ে চীনকেও কোনো বার্তা দিতে চাচ্ছে না নয়া দিল্লি। তাই কৌশল হিসেবে আপাতত চুক্তির পথে না গিয়ে সমঝোতা স্মারকের পথে হাঁটা হচ্ছে।
ভারতের কাছ থেকে সমরাস্ত্র কেনা নিয়েও বিরোধিতা রয়েছে বিএনপির। তারা বলছে, ভারতের সমরাস্ত্র মানম্মত নয়।
এসএস