বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুর রহীম সাঈদ বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গভীর রাতে নিরিহ, নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত জাতির উপর শসস্ত্র পাকবাহিনী অতর্কিতভাবে হামলে পড়ে। পরদিন ২৬ মার্চ ঐতিহাসিক এক ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয় স্বাধীনতার লড়াই, মুক্তির সংগ্রাম। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী এ আন্দোলন ছিল জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই। আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। একটি স্বাধীন মানচিত্র পেয়েছি বটে, তবে প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ দীর্ঘ ৪৬ বছরেও পাইনি। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। একটি স্বাধীন জাতি হিসাবে আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াতে শিখিনি। আমরা এখনও গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে উলামায়ে কেরাম ও মুসলিম নেতৃবৃন্দের অবদানের কথা ইতিহাস স্বাক্ষী হয়ে আছে। অথচ একটি মহল একে কেন্দ্র করে উলামায়ে কেরাম ও মুসলিম মনীষীদের চরিত্রে কালিমা লেপনের জন্য স্বাধীনতার চেতনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার সমূহ অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের সকল চক্রান্ত প্রতিহত করতে ও স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ আস্বাদন করতে দেশপ্রেমিক সকল নাগরিককে একযোগে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্দোগে জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ‘স্বাধীনতা আন্দোলন: জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই’ শীর্ষক আলোচনা সভাও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
জেলা সেক্রেটারী হফেজ মুহাম্মদ লোকমানের সভাগতিত্ত্বে ও জেলা প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা সভাপতি মুহাম্মদ ওমর ফারুক, সিদ্ধিরগঞ্জ মাদরাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা শফিকুল ইসলাম, জেলা বায়তুলমাল সম্পাদক মুহাম্মদ দ্বীন ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সভাপতি নাজমুল হাসান নাহিদ প্রমুখ।
পরে শহীদদের স্মরণে মোনাজাত ও আল আজীজ শিল্পিগোষ্টির পরিবেশনায় মনমোগ্ধকর সাংস্কৃতিক সন্ধা অনুষ্ঠিত হয়।
আরআর