সিলেটের আতিয়া মহলে এখনো অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ভেতরে জঙ্গিরা সুইসাইডাল ভেস্ট পরে আছে। যে কোনো মুহূর্তে তারা বিষ্ফোরণ ঘটাতে পারে।
এদিকে অভিযানের ভেতরেই শনিবারে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে আতিয়া মহলের পাশে। যাতে নিহত হয় ৬ জন এবং আহত হন ৪০ জনেরও বেশি মানুষ। আহত ২৬ জন এখনো ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১৭ জন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন।
আহতরা অনেকেই গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপ করেছেন চোখে দেখা অভিজ্ঞতা নিয়ে।
র্যাব কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদকে রাতেই সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়। বিস্ফোরণে অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন। বিছানায় শুয়ে তারা জানান সেই ভয়াবহ স্মৃতি।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, ‘প্রথম দফা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে সহকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। রাস্তার উপর একটি পলিথিনের পোটলা পড়ে থাকতে দেখি। একটি কাঠি দিয়ে সেটার ভেতরে কী আছে তা দেখার চেষ্টা করছিলাম। এসময় বিস্ফোরণ ঘটে। দুই সহকর্মী নিহত হন। আমার ডান পায়ে স্প্লিন্টার বিঁধে। ’
আহত নাজিম আহমেদ বলেন, ‘একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করি আমি। সেলসম্যানরা যেসব দোকানে পণ্য দিয়ে যায়, সেগুলো থেকে টাকা সংগ্রহ করি আমি। আতিয়া মহলে অভিযান শেষ হয়ে গেছে, এমনটা শুনে আমি শিববাড়ি এলাকার দোকানে টাকা সংগ্রহ করতে যাই। কয়েকজনের সাথে কথা বলছিলাম। এমন সময় গোটাটিকর দাখিল মাদরাসার সামনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে, আমি পাশের ধানক্ষেতে গিয়ে পড়ি। পরে আমাকে হাসপাতালে আনা হয়। আমার পায়ে মারাত্মক জখম হয়েছে। ’
ঘটনাস্থলে উৎসাহী হয়ে গিয়ে আহত হওয়া মোশতাক আহমদ বলেন, ‘অভিযান দেখতে উৎসুক হয়ে গিয়েছিলাম আমি। সন্ধ্যার পর অন্যদের সাথে ফিরছিলাম, এমন সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর আর কিছু মনে নেই। পরে নিজেকে হাসপাতালে দেখতে পাই। ’
আরআর