বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জালালদ্দীন আহমদ বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই। ইসলাম জালিমের বিরুদ্ধে লড়াই করার নির্দেশ দিয়েছে। অনেক আলেম স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল এবং শত শত কওমী মাদরাসা মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহারিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে আলেম-উলামার অবদানকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। স্বাধীনতার যুদ্ধকে ইসলামের বিপক্ষে দাঁড় করানোর জন্য একটি কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এবং তারা সুপ্রিম কোর্টের সামনের গ্রীক দেবীর মূর্তি কে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে আখ্যায়িত করছে তিনি একথার কড়া সমালোচনা করে বলেন, কোনো মূর্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হতে পারে না। এরা দেশ রক্ষার মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করতে চায়।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী তালিকায় অনৈতিকভাবে হাফেজ্জী হুজুর ও মুফতী আমীমুল এহসানকে অন্তর্ভক্ত করার পাযতারা করছে। তাদের এ চক্রান্ত বাংলার জমিনে কোনো দিন বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।
মহানগর সভাপতি মাওলানা এনামুল হক মূসার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কোরবান আলী, অফিস ও বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূইয়া, মহানগর সহ-সভাপতি মাওলানা কারামাত আলী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ছানা উল্লাহ, মাওলানা আতিক উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কামালুদ্দীন ফারুকী, ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ রহমত আলী, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা শামছুল আলম, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাজী আকরাম উল্লাহ প্রমুখ।
আলোচনা শেষে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দুআ করা হয়।
আরআর