স্বামীকে ফাঁকি দিয়ে স্ত্রী পরকীয়া লিপ্ত হয়েছিলেন আরেক জনের সঙ্গে। সেই থেকে কলহ শুরু হলে স্ত্রী তার প্রেমিককে নিয়ে স্বামী জহির মিয়ার শরীরে স্যালাইনের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যা করে ।
কুমিল্লার এ ঘটনায় স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিককে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন একটি আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক এম আলী আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নিহতের স্ত্রী শিরিন আক্তার ও তার পরকীয়া প্রেমিক দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্য্য।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা নগরীর কাপ্তানবাজার এলাকার ইসলাইল ওরফে সোনা মিয়ার ছেলে জহির মিয়ার সঙ্গে শিরিন আক্তারের মধ্যে বিয়ের পর থেকে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে জহির অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্ত্রী দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্যের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। গত ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শিরিন ও তার পরকীয়া প্রেমিক দুলাল অসুস্থ জহিরের শরীরে স্যালাইন পুশ করার নামে স্যালাইনের ভেতর তরল জাতীয় বিষ মিশিয়ে দেন। এতে পর দিন তার মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিষের আলামত পাওয়া যায়। পরে নিহতের স্ত্রী শিরিনকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমিক দুলালসহ তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে পুলিশ ২০০৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে তাদেরকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করলে বিচার কাজ শুরু হয।
আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মঙ্গলবার নিহতের স্ত্রী শিরিন আক্তার ও তার পরকীয়া প্রেমিক দুলাল চন্দ্রের ফাঁসির আদেশ দেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত শিরিন জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা গ্রামের রওশন আলীর মেয়ে এবং দুলাল চন্দ্র একই জেলার সদর উপজেলার ঝাকুনিপাড়া গ্রামের কুমোদ চন্দ্রের ছেলে। বর্তমানে উভয় আসামি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
আরএফ