ধর্ষণের ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে এক নম্বর। এছাড়া ধর্ষণের কারণে বিশ্বের কাছে সমালোচিত হওয়া ভারত চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। ২০১৬ সালের ওয়ার্ল্ড টপ মোস্ট নামে একটি সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া যায়।
বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো ধর্ষণের মতো বর্বর ঘটনায় সোচ্চার হলেও দেখা যাচ্ছে অপরাধের শীর্ষে রয়েছে সেই সব উন্নত রাষ্ট্রগুলোই। চলতি বছর ধর্ষণ অপরাধের শীর্ষ থাকা ১০টি দেশের নাম প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড টপ মোস্ট নামে একটি সংবাদমাধ্যম। প্রকাশিত প্রতিবেদনে ধর্ষণে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে আমেরিকার নাম রয়েছে এক নম্বরে।
এর আগের বছরে তালিকাতে শীর্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই বছরে শীর্ষ পাঁচে ছিল যথাক্রমে- ২.সুইডেন, ৩. যুক্তরাষ্ট্র ৪.ব্রিটেন ও ৫. ভারত।
গবেষণা বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ৩ জন নারীর ১ জন পুরো জীবনে একবার হলেও ধর্ষণের শিকার হন। গড়ে যুক্তরাষ্ট্রে ৯১ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার হন। এছাড়া পুরুষ ধর্ষণের শিকার হয় ৯ শতাংশ। সেখানে প্রতি ৬ জন নারীর মধ্যে ৫ জন ধর্ষণের শিকার অথবা ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হন। আর পুরুষদের বেলায় প্রতি ৩৩ জনে একজন এই ঘটনার শিকার হন।
আর প্রতি ২২ মিনিটে একজন নারী কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হন ভারতে। ধর্ষকদের ৯ শতাংশই ধর্ষিতার নিকট আত্মীয় বা পড়শী। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তালিকা অনুসারে ধর্ষণ অপরাধে সুইডেনের অবস্থান ৩ নম্বরে। এছাড়া নারীর প্রতি চরম সহিংসতার এই শীর্ষ তালিকায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম রয়েছে ৫ নম্বরে।
ধর্ষণ অপরাধের শীর্ষে থাকা বাকি ৫টি দেশ হলো- জার্মানি- ৬, ফ্রান্স ৭, কানাডা- ৮, শ্রীলংকা- ৯। আর ইথিওপিয়া রয়েছে ১০ নম্বর অবস্থানে।
আরআর