আওয়ার ইসলাম : ইউনেস্কোর ই-৯ ভিত্তিক দেশগুলোর উদ্যোগগুলোকে এসডিজির সাথে সমন্বয় করে এসডিজি-৪-এর মূল লক্ষ্য সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, 'সংস্কৃতি, ধর্ম, বর্ণ এবং ভাষার বিভিন্নতা সত্ত্বেও বর্তমানে আমরা এমন একটি বিশ্বে বসবাস করছি যেখানে সকলে একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। পারস্পরিক বোঝাপড়া, সহিষ্ণুতা এবং বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিতে শিক্ষা সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করতে পারে।'
'সমাজে সঠিক মূল্যবোধ, আকাঙ্ক্ষা এবং প্রয়োজনীয় যোগ্যতার ভিত গড়ে দিতেও শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে,' যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ই-৯ ভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ব্রাজিল, চিন, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তান।
অনুষ্ঠানে গতবারের চেয়ারপাসন পাকিস্তানের শিক্ষা ও পেশাগত প্রশিক্ষণ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বালিঘ-উর-রহমান সংগঠনের উন্নয়ন রিপোর্ট উপস্থাপন করেন এবং নতুন চেয়ারপারসন নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে সংগঠনের চেয়ারপারসনশিপ হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "সবার জন্য শিক্ষা বা 'এডুকেশন ফর অল-ইএফএ' কর্মসূচিকে আমি সেই প্রেক্ষাপটে দেখি যা থেকে ই-৯ এর উদ্ভব হয়েছে। আমরা এসডিজি'র যুগে প্রবেশ করেছি। শিক্ষা বিষয়ক এসডিজি-৪-এর সঙ্গে এমডিজি এবং ইএফএ-এর শিক্ষা ও অর্জনসমূহের আলোকে ই-৯ এর উদ্যোগ ও কৌশলের সমন্বয়ের জন্য এই বৈঠক অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং অর্থপূর্ণ।"
তিনি বলেন, 'আমি মনে করি- এক্ষেত্রে আমাদের এই বৈঠক একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আমি আরও বিশ্বাস করি, আমাদের এই বিশ্বের জন্য একটি টেকসই সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত ভবিষ্যত নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এই বৈঠক প্রয়োজনীয় সুযোগ চিহ্নিত এবং কাজে লাগাতে সহায়তা করবে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি আশা করি- এই বৈঠক থেকেই এসডিজি-৪ অর্জনের জন্য আমাদের অভিযাত্রা শুরু হল এবং ঢাকা ঘোষণা আমাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে প্রতীয়মান হবে। বিদেশি অতিথিবৃন্দের এখানে অবস্থান আনন্দদায়ক এবং স্মরণীয় হয়ে থাকুক, এ প্রত্যাশা করছি।'