আওয়ার ইসলাম : স্বাধীনতার পর ১৩০০ নদ-নদী থেকে এখন কোনো রকম ৭০০টি টিকে রয়েছে। এর মধ্যেও প্রবাহমান নদীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নদী বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে ‘নদ-নদী রক্ষায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
তাই ঢাকার আশপাশ এলাকার মাত্রাতিরিক্ত দূষণ রোধে জরুরি ভিত্তিতে স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া দরকার। পাশাপাশি তা এক থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা জরুরি”
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের পক্ষ থেকে সন্বয়কারী মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন নদী রক্ষায় সরকারে কাছে ১৬টি সুপারিশ তুলে ধরেন।
এর মধ্যে স্বল্প মেয়াদে নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, কৃত্রিম লেক, সমুদ্র সৈকতে ইঞ্জিন চালিত নৌকার পোড়া মবিল, তেল, গৃহবর্জ্য ময়লা-আবর্জনা, প্লাস্টিক বোতল ও পলিথিনসহ অপচনশীল বর্জ্য ফেলা বন্ধে আইনগত পদক্ষেপ ও জনসচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়।
মধ্য মেয়াদী পাঁচটি সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- সুপেয় পানির জলাধারা সৃষ্টির জন্য ভরাট ও অর্ধ ভরাটকৃত মজা পুকুর এবং দীঘিগুলো খনন ও পুনঃখননের আওতায় আনা, মাঝারি ও ছোট নদী-নালা, খাল-বিলগুলোকে সামাজিক বনায়নের আওতায় আনা।
-এআরকে