আওয়ার ইসলাম : আজ মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৭ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে উদ্বোধনের পর বাঙালির প্রাণের এ মেলার দ্বার খুললো।
গ্রন্থমেলার পাশাপাশি বাংলা একাডেমির আয়োজনে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরই বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্র্দী উদ্যান নতুন নতুন বইয়ের পসরায় রঙিন হয়ে উঠলো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় প্রধামন্ত্রী বলেন, ‘বিপথে যাওয়া ছেলেমেয়েরা সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চার মধ্য দিয়ে সুপথে ফিরে আসবে বলে বিশ্বাস করি। বই দিয়ে ছেলেমেয়েদের বিপথে যাওয়া থেকে উদ্ধার করা যায়।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আজ পর্যন্ত যা কিছু অর্জন তা রক্ত দিয়েই অর্জন করতে হয়েছে। নিজের ভাষা, কথা বলার অধিকার, বাঙালি হিসেবে যে মর্যাদার মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি সবই লড়াইয়ের এবং রক্তের বিনিময়ে পাওয়া।
ডিজিটাল বইয়ের লাইব্রেরি হাতের নাগালে থাকলেও এখনও হাতে নিয়ে পাতা উল্টে বই পড়াতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এখন হাতে একটা যন্ত্র নিয়ে বই পড়া যায়। কিন্তু হাতে নিয়ে পাতা উল্টে বই পড়াতেই আনন্দ বেশি।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বই পড়তে হবে। পরিবারগুলো তাদের শিশুদের বইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে তার বিকাশে সহযোগিতা করে। তিনি নিজেও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য ছোট থেকেই বই পড়ার চর্চা তৈরির পরিবেশ কীভাবে গড়ে তোলেন সেই বর্ণনা দেন।
উদ্বোধনের আগে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করেন তিনি। বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৬ প্রাপ্ত কবি-সাহিত্যিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শেখ হাসিনা। এ বছর সাতজন বিশিষ্ট কবি, লেখক এবং গবেষক এ পুরস্কার পান।
পুরস্কার প্রদানের পর বক্তব্যে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের পর মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন তিনি।
এবার ৪০৯টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৬৬৩টি ইউনিট নিয়ে বসছে অমর একুশে বইমেলা।
-এআরকে