আওয়ার ইসলাম : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে বলা হয় মসজিদের নগরী। এটাই আমাদের ইতিহাস, এটাই আমাদের ঐতিহ্য। বাঙ্গালী জাতিসত্ত্বা ও চেতনাবোধ তাই। কিন্তু আজকে আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করে দেখছি মসজিদের নগরী এই ঢাকাকে সরকারের ভিতরের একটি কুচক্রি মহল মূর্তীর নগরী বানাতে মড়িয়া হয়ে উঠছে।
পাঠ্য বইয়ে হিন্দু ও নাস্তিক্যবাদী বিতর্কিত বিষয় সংযোজনকারী আর এই মূর্তী সংস্কৃতির হোতারা একই সূত্রে গাঁথা। তারাই বার বার একের পর এক ষড়যন্ত্রমূলক কৃর্তি-কলাপ করে জনগণ ও সরকারকে বিভ্রান্ত করছে। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে আগামী ২১ জানুয়ারী’১৭ইং এর বিক্ষোভ মিছিল বাস্তবায়ন উপলক্ষ্যে আজ ১৬ জানুয়ারী’১৭ইং বিকাল চারটায় নগর কার্যালয়ে আয়োজিত যৌথ সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।
উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, নগর উত্তর সেক্রেটারী মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারী সাবেক ছাত্র নেতা আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, সহ প্রচার সম্পাদক মুফতী মাছউদুর রহমান, সহ দফতর সম্পাদক প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন, হাফেজ হানিফ প্রমুখ।
নেতৃবৃৃন্দ আরো বলেন, সরকার গায়ে পড়ে ঝগড়া বাঁধায়। নতুন বছরের শুরুতে একেবারে পায়ে পাঁড়া দিয়ে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়েছে। যখন পাঠ্যবইয়ের বিতর্কিত বিষয়গুলো পরিবর্তন করে নতুন বই প্রকাশ করায় দেশে একটি স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। ঠিক সে সময়ে সুপ্রিমকোর্ট চত্তরে নারীর মূর্তী, রাজধানী ঢাকার মোড়ে মোড়ে ভাস্কর্যের নামে মূর্তী স্থাপন করে দেশকে আবার অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। দেশবাসীকে মূর্তীসংস্কৃতি চর্চার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। যা দেশীয় সংস্কৃতি ও জাতিসত্ত্বা বোধ বিরোধী। আমরা সুপ্রিমকোর্ট চত্তরের মূর্তীসহ রাজধাণীর মোড়ে মোড়ে স্থাপিত সকল মূর্তী ও ভাস্কর্য অনতিবিলম্ভে অপসারণ করার জোর দাবী জানাই। তা না হলে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে দুর্বার গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। জনতার আন্দোলনের তীব্রতায় মূর্তীসংস্কৃতির ধারক-বাহকরা পালাতে বাধ্য হবে।