আওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শিক্ষাব্যবস্থাকে নাস্তিক্যবাদী বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বুদ্ধিজীবীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, এদেশের ৯২ ভাগ মুসলমানের চিন্তা চেতনা অনুযায়ী তাদের সন্তানরা শিক্ষা অর্জন করবে এটাই স্বাভাবিক। ৮ ভাগ মানুষের জন্য পৃথক সিলেবাস হতে পারে, কিন্তু তাদের চিন্তা চেতনার সিলেবাসে ৯২ ভাগ মুসলমানের সন্তানদের পড়ানো চলবে না।
তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেতরে নাস্তিক্যবাদী একটি চক্র প্রবেশ করে স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে হিন্দুত্ববাদী ও নাস্তিক্যবাদী গল্প কবিতা সংযোজন করেছিল। এদেশের ইসলামপ্রিয় জনতা এর বিরুদ্ধে রাজপথে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলায় এবছরের পাঠ্যপুস্তকে বেশকিছু আপত্তিকর গল্প কবিতা বাদ দেয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন বক্তৃতা ও টেলিভিশনের টকশোতে একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবী এই পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কথা বলছে, এমনকি ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে নানারকম ধর্মীয় উস্কানি দিচ্ছে।
তিনি এসব বুদ্ধিজীবীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে বসে আমেরিকা ও ভারতের চিন্তাচেতনায় যারা কথা বলেন, তাদের এদেশে থাকার প্রয়োজন নেই।
তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, পাঠ্যসূচি পরিবর্তনকে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা স্বাগত জানিয়েছে, তাই গুটিকয়েক ব্যক্তির কথা না শুনে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের পক্ষেই থাকুন। তিনি যুব আন্দোলনের দায়িত্বশীলদের দেশ ও জনগণের কল্যাণার্থে এবং অধঃপতিত যুবসমাজকে ইসলামের আলোকে জীবন গড়ার কাজে সম্পৃক্ত করার আহবান জানান।
আজ ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যেগে আইএবি মিলনায়তনে দিনব্যাপী আয়োজিত দায়িত্বশীল প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়বে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন।
নগর সভাপতি অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কে এম আতিকুর রহমান ও সদস্য সচিব মাওলানা নেছার উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।
উপস্থিত ছিলেন, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান। বক্তব্য রাখেন, নগর যুব আন্দোলন সদস্য সচিব মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী, যুগ্ম সদস্য সচিব মুকতাদির হোসের মারূফ প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেছেন, পীর সাহেব চরমোনাই রহ. দিকভ্রান্ত পথহারা যুবসমাজের জন্য ছিলেন আলোকবর্তিকা। তার ছোঁয়ায় লক্ষ লক্ষ যুবক আলোর দিশা পেয়েছে। তারা আজ সমাজ পরিবর্তনের সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। তিনি সকলকে দ্বীন প্রতিষ্ঠায় সাহাবায়ে কেরামের নমুনায় কাজ করার আহবান জানান। মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ২য় বৃহত্তম মুসলিম দেশের সুপ্রিমকোর্টে নারীমুর্তি স্থাপন মেনে নেয়া যায় না।
তিনি অবিলম্বে সরকারকে এ সিদ্ধান্ত বাতিলের আহবান জানিয়ে বলেন, অন্যথায় জনগণ রাজপথে নেমে আসলে আপনাদের জন্য কল্যাণকর হবে না। কেন্দ্রীয় আহবায়ক তার বক্তব্যে বলেন, দেশের যুব সংগঠনগুলোর ইতিহাস কালো অধ্যায়ে ঢাকা।
ইসলামী যুব আন্দোলন যুবকদের চরিত্র সংশোধনের মাধ্যমে সমাজের সমস্ত আধার দূর করতে চায়। এ লক্ষ্যে সারাদেশের শান্তিকামি ও মুক্তিকামি যুবকদের এই প্লাটফর্মে একত্রিত হওয়ার আহবান জানান তিনি।
আরআর