নাসির আহমেদ: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই আমবয়ানের মধ্য দিয়ে গাজীপুর জেলার টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুরু হতে যাচ্ছে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত তাবলিগ জামাতের ইজতেমার প্রথম পর্ব।
শুক্রবার বাদ ফজর আমবয়ানের মাধ্যমে তাবলিগের বুজুর্গ মুরুব্বিরা এর সূচনা করবেন। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কনকনে শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে দলে দলে মুসল্লি ইজতেমাস্থলে আসছে। তারা কাঁধে-পিঠে প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে নিজ জেলার খিত্তায়-খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছে।
টঙ্গীর ইজতেমাস্থল এখন মুসল্লিদের আগমনে মুখরিত। আজ বৃহস্পতিবারই বিশ্ব ইজতেমার বিশাল ময়দানে লাখো মুসল্লি জমায়েত হওয়ায় বাদ মাগরিব থেকে হেদায়েতি বয়ান শুরু হয়েছে।
এদিকে বিশ্ব ইজতেমায় আগতদের নিরাপত্তা দিতে ময়দান ঘিরে আশপাশ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। মুসল্লিদের চলাফেরা ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে ওয়াচ টাওয়ারসহ স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা বাণী দিয়েছেন।
প্রথমবারের মতো গত বছর হতে শুরু হয় দেশের ৬৪ জেলাকে চার ভাগ করে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন। ওই বছর মোট ৩২টি জেলা নিয়ে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয় ইজতেমা। এ বছর দুই পর্বে বাকি ৩২ জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন।
প্রথম পর্বে অংশ নেবে ঢাকার একাংশসহ ১৭টি জেলার তাবলিগ অনুসারীরা। অবশিষ্ট ১৫ জেলার তাবলিগ অনুসারীরা আগামী ২০ জানুয়ারি হতে দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবে। তবে বিদেশি মুসল্লিরা প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে পারবে। স্থান সংকুলান ও নিরাপত্তার কথা ভেবে এ পরিবর্তন আনা হয়। বিশ্ব ইজতেমার শীর্ষ পর্যায়ের মুরুব্বিরা ইজতেমার এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হবে। এরপর চার দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবে বাকি ১৫ জেলার তাবলিগ অনুসারীরা। ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা।
এ দিকে বিশ্ব ইজতেমার সর্বশেষ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পক্ষ থেকে আজ দুপুরে ও বিকেলে আলাদাভাবে ব্রিফিং করা হয়েছে। এতে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মইনুর রহমান চৌধুরী, র্যাবের ডিজি বেনজির আহম্মেদ, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, গাজীপুর জেলার এসপি হারুন-অর-রশিদ উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, জঙ্গি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নাগরিকদের উপর থাকছে বিশেষ নজরদারি। বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই।
তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে প্রতিবছর এ বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে। প্রায় ১৬০ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ইজতেমা মাঠে বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ থেকেই তবলিগ জামাতের অনুসারী মুসলমানরা অংশ নেন। তারা এখানে তবলিগ জামাতের শীর্ষ আলেমদের বয়ান শুনেন এবং ইসলামের দাওয়াতি কাজ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়ার জন্য জড়ো হন। এখান থেকেই দ্বিনের দাওয়াতি কাজে বেরিয়ে যান। ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের তবলিগ অনুসারীরা মিলিত হন ইজতেমায়।
প্রথমপর্বে খিত্তাভিত্তিক অবস্থান
এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্বে ২৭টি খিত্তায় ঢাকার একাংশ ও গাজীপুরসহ ১৭ জেলার মুসল্লিদের জন্য ময়দানে জেলাওয়ারি স্থান (খিত্তা) নির্দিষ্ট করা হয়েছে। মুসল্লিরা জেলাওয়ারি এসব খিত্তায় অবস্থান নেবেন।
এ পর্বে ১-৫ নম্বর খিত্তায় ঢাকা, ৬-৮ নম্বর খিত্তায় টাঙ্গাইল, ৯-১১ নম্বর খিত্তায় ময়মনসিংহ, ১২ নম্বর খিত্তায় মৌলভীবাজার, ১৩ নম্বর খিত্তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ১৪ নম্বর খিত্তায় মানিকগঞ্জ, ১৫ নম্বর খিত্তায় জয়পুরহাট, ১৬ নম্বর খিত্তায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ১৭ নম্বর খিত্তায় রংপুর, ১৮-১৯ নম্বর খিত্তায় গাজীপুর, ২০ নম্বর খিত্তায় রাঙামাটি, ২১ নম্বর খিত্তায় খাগড়াছড়ি, ২২ নম্বর বান্দরবন, ২৩ নম্বর খিত্তায় গোপালগঞ্জ, ২৪ নম্বর খিত্তায় শরীয়তপুর, ২৫ নম্বর খিত্তায় সাতক্ষীরা এবং ২৬-২৭ নম্বর খিত্তায় যশোর জেলা অবস্থান নেবে।
দ্বিতীয়পর্বে খিত্তাভিত্তিক জেলা
ঢাকা জেলার বাকি অংশ ১-৫ নম্বর খিত্তায়, মেহেরপুর ৬ নম্বর খিত্তায়, ঢাকা জেলা ৭ নম্বর খিত্তায়, বাগেরহাট ৮ নম্বর খিত্তায়, রাজবাড়ি ৯ নম্বর খিত্তায়, দিনাজপুর ১০ নম্বর খিত্তায়, হবিগঞ্জ ১১ নম্বর খিত্তায়, মুন্সীগঞ্জ ১২-১৩ নম্বর খিত্তায়, কিশোরগঞ্জ ১৪-১৫ নম্বর খিত্তায়, কক্সবাজার ১৬ নম্বর খিত্তায়, নোয়াখালি ১৭-১৮ নম্বর খিত্তায়, বাগেরহাট ১৯ নম্বর খিত্তায়, চাঁদপুর ২০ নম্বর খিত্তায়, পাবনা ২১-২২ নম্বর খিত্তায়, নওগাঁ ২৩ নম্বর খিত্তায়, কুষ্টিয়া ২৪ নম্বর খিত্তায়, বরগুনা ২৫ নম্বর খিত্তায় এবং বরিশাল ২৬ নম্বর খিত্তায়।
তুরাগ নদে ভাসমান সেতু
মুসল্লিদের তুরাগ নদ পারাপারের নয়টি ভাসমান সেতু স্থাপন করা হয়েছে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরের তত্ত্বাবধানে। এরই মধ্যে সেতুগুলো মুসল্লিদের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
আজ দুপুরে টঙ্গীর টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) মাঠে এক ব্রিফিংয়ের গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেন, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে ছয় হাজারের অধিক ফোর্স থাকবে। থাকবে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইজতেমা মাঠের ভেতরে সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পর্যাপ্ত সদস্য নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে। খিত্তায় খিত্তায় পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ইজতেমা উপলক্ষে বিভিন্ন মোড়ে ও গলিসহ ইজতেমার প্রবেশ পথগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বিদেশি খিত্তায় তিনটি আর্চওয়ে স্থাপন করা হয়েছে।
গত বছরের চেয়ে বেশি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে পুলিশ পর্যবেক্ষণ করছে। এ ছাড়া একটি অত্যাধুনিক কন্ট্রোল রুম ও পাঁচটি সাব-কন্টোল রুম করা হয়েছে। পুরো ইজতেমা এলাকাকে পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি সেক্টরে একজন করে অ্যাডিশনাল এসপিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
ইজতেমায় বিদেশি
বিদেশি মুসল্লিদের জন্য মাঠের পশ্চিম-উত্তর কোণে গড়ে তোলা হয়েছে আবাসন ব্যবস্থা। সেখানে বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্যাস সংযোগসহ রয়েছে আধুনিক সুবিধাদি। বিদেশি নিবাসের রন্ধনশালায় রয়েছে আপ্যায়নের নানা আয়োজন।
বিদেশি মেহমান খানার জিম্মাদার জানান, বহু বিদেশি মেহমান ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছেছেন। অনেকে পথে রয়েছেন। গত মঙ্গলবার থেকে বিদেশি মেহমানরা আসতে শুরু করেছেন। আখেরি মোনাজাতের দিন পর্যন্ত তাদের এ আগমন অব্যাহত থাকবে। এখানে ইংলিশ, আরব, অনারবদের জন্য আলাদা আলাদা তাঁবু ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিন বিদেশিদের পছন্দমাফিক খাবারও সরবরাহ করা হচ্ছে। সেখানে দুই শতাধিক বাবুর্চি ছাড়াও শুধু রুটি বানানোর জন্য কাকরাইল মাদ্রাসার দেড়শর মতো শিক্ষার্থীও যোগ দিয়েছেন।
বিদেশি মুসল্লিদের জন্য ইজতেমার মূল ছয় দিনের প্রতিদিন এখানে প্রায় চার টন গরু, পাঁচ টন মুরগি, এক টন খাসির মাংস, পাঁচ টন মাছ ও চার টন সবজির প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া প্রতিদিন ২০ হাজারের মতো তুন্দুর রুটি লাগে বলে জানান মুরুব্বি গিয়াস উদ্দিন। তিনি জানান, সব কাজ করা হয় মোশায়ারার (পরামর্শ) মাধ্যমে। এ বছর বাইরের প্রায় ৩০-৪০টি দেশ থেকে ৩০ হাজারেরও বেশি মুসল্লি ইজতেমায় যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পানি, বিদ্যুৎ, চিকিৎসাসেবা
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের টঙ্গী অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ইজতেমা মাঠে স্থাপিত উৎপাদন নলকূপের মাধ্যমে প্রতিদিন তিন কোটি লিটারেরও বেশি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ওজু-গোসলের হাউজ ও টয়লেটসহ প্রয়োজনী স্থানে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া পাকা দালানে প্রায় ছয় হাজারের মতো টয়লেট ইউনিট রয়েছে। এদের মধ্যে নষ্ট ও ক্ষতিগ্রস্ত অজু-গোসলখানা এবং টয়লেটগুলো এরই মধ্যে সংস্কার করা হয়েছে।
ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও স্বাস্থ্যসেবা
আজ দুপুরে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ইজতেমা ময়দানের উত্তর পাশে মন্নু টেক্সটাইল মিলের মাঠে হামদর্দ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান খান কিরণ, হামদর্দের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাকিম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া, টঙ্গী ওষুধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এম এ লতিফ প্রমুখ ছিলেন। এ ছাড়া ফ্রি-মেডিক্যাল ক্যাম্প এলাকায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী ফাউন্ডেশন, ইবনে সিনা এবং টঙ্গী ওষুধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতিসহ প্রায় অর্ধশত সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফ্রি চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করেছে।
এ দিকে গাজীপুর জেলার সিভিল সার্জন আলী হায়দার খান বলেন, ইজতেমা উপলক্ষে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাসপাতালে একটি নিজস্ব কন্ট্রোল রুম ছাড়াও কার্ডিয়াক, বার্ন, অ্যাজমা, ট্রমাসহ বিভিন্ন ইউনিট খোলা হয়েছে। এ ছাড়া টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের উদ্যোগে একাধিক মেডিকেল সেন্টার খোলা হয়েছে। বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হোটেলে খাবারের মান ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নির্বাহী হাকিমসহ সেনিটেশন টিম কাজ করছে।
যাতায়াতে ডিএমপির নির্দেশনা
মুসল্লিদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে যানবাহন পার্কিং সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রেইনবো ক্রসিং থেকে আব্দুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত এবং রামপুরা ব্রিজ থেকে প্রগতি স্মরণি পর্যন্ত রাস্তা ও রাস্তার পাশে কোনো যানবাহন পার্কিং করা যাবে না। বিদেশগামী বা বিদেশ ফেরত যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ব্যবস্থাপনায় চারটি বড় আকারের মাইক্রোবাস নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেইটে ভোর ৪টা থেকে থাকবে।
এ ছাড়া সাহায্যের জন্য- ১০০, ৭১২৪০০০, তথ্যের জন্য- ডিএমপি মিডিয়া সেল- ৯৩৩৭৩৭৯, ০১৭১৩৩৯৮৭৫৬-৭, ০২-৯৩৩৭৩৬২ নম্বরে ডায়াল করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ট্রাফিক সম্পর্কিত যেকোনো তথ্যের জন্য উত্তরা ট্রাফিক জোনের জ্যেষ্ঠ উপকমিশনার (এসি) মো. জিন্নাত আলী মোল্লা, (০১৭১৩৩৯৮৪৯৮) এবং টিআই মো. মাহফুজার রহমানের (০১৭১১৩৬৬৫৬১) সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
দুই মুসল্লির মৃত্যু
আজ বিকেল পর্যন্ত ইজতেমায় আগত দুই মুসল্লি মারা গেছেন। এদের মধ্যে বিকেল সাড়ে ৪টায় সাতক্ষীরা জেলা সদরের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে আব্দুস সাত্তার (৬০) মারা গেছেন। এর আগে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার মারুয়া গ্রামের ফজলুল হক (৫৬) মারা যান। বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁরা ইজতেমা ময়দানে মারা যান বলে জিম্মাদার জানিয়েছেন।
সূত্র: এনটিভি