আওয়ার ইসলাম : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধের ভয়াবহতা কাটিয়ে বাংলাদেশের মানুষ যখন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ষড়যন্ত্রের রাজনীতি’ শুরু হয়, দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ‘থেমে যায়’। তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পরে যারা ক্ষমতায় আসে “তারা কখনো জাতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিতে চায়নি। কারণ তাদের দেহ এ দেশে থাকলেও মন পড়ে থাকত পাকিস্তানে।” মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আওয়ামী লীগের জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৭৫’র পর থেকে দেশে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়। ১০ জানুয়ারি বাঙালির ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা ফিরে এসেছিলেন। তিনি একটি স্বাধীন দেশ কিভাবে পরিচালিত হবে সেই পথ দেখিয়েছিলেন। একটি বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছিলেন। প্রতিটি মানুষের মনে উন্নয়নের আশা জেগেছিল। ঠিক সেই সময় অন্ধকার ১৫ আগস্ট নেমে এসেছিল।
আধা ঘণ্টাব্যাপী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বিগত চারদলীয় জোটের শাসন আমলের সমালোচনা করে বলেন, তারা জঙ্গি ও সন্ত্রাসী... জঙ্গিদের উসকে দিয়েছে। জনগণ তাদের বিচার করবে। গণআদালতে বিচার হবে। বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গিদের স্থান হবে না। বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসীদের স্থান হবে না । এ সময় তিনি তার সরকারের গৃৃহিত বিভিন্ন উন্নয়ন পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, এদিকে সভামঞ্চ এবং সোহরাওয়ার্দীর আশপাশের এলাকায় নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা। জনসভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ মোড় থেকে মৎস্য ভবন মোড়ের দুপাশে এবং টিএসসির মোড় থেকে দোয়েল চত্বর মোড়ের দুপাশের রাস্তা বন্ধ থাকবে জানিয়ে চালকদের বিকল্প পথ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
জিপিও মোড়, প্রেসক্লাব, কাকরাইল মসজিদ মোড়, এলিফেন্ট রোডের বাটা সিগন্যাল মোড়, দোয়েলচত্বরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ব্যারিকেড দেওয়ায় গুলিস্তান, মতিঝিল, ফাইর্মগেট, মগবাজারসহ আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজট দেখা যায়।
-এআরকে