আদনানের বাবা কবির হোসেন মিডিয়াকে বলেন, আমার নিরপরাধ মাছুম বাচ্চাটাকে ওরা মেরে ফেলল। আমার ছেলে কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল না। তিনি জানান, শুক্রবার বিকেলে ব্যাডমিন্টন খেলতে বাসা থেকে বের হয়। সন্ধ্যার পর তিনি শুনতে পান আদনানকে কে বা কারা কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে। দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে দেখেন তার ছেলের নিথর দেহ পড়ে আছে। তিনি এর বিচার চান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই শাহিন মিয়া বলেন, নিহত আদনানের বাবার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজনের নাম নাফিজ মো. ডন (১৯) ও আরেকজন সাদাফ (১৬)। দু’জনকে গ্রেফতার করে একদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মামলাটির অধিকতর তদন্ত চলছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। তাদেরও যথাসময়ে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান তিনি।
পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলি হোসেন বলেন, আমরা জানতে পেরেছি কিছু উশৃঙ্খল ছেলে আদনানকে হত্যা করেছে। তাদের দুটি গ্রুপ এই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। একটি ডিসকো গ্রুপ ও অপরটি নাইনস্টার গ্রুপ বলে জানতে পেরেছি। তবে আসামিরা যে গ্রুপেরই হউক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে এই হত্যার বিচার করা হবে। জড়িত কেউ রেহাই পাবে না।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় একদল তরুণ মাইলস্টোন কলেজের সাবেক ছাত্র আদনান কবিরকে উত্তরার ১৩নং সেক্টরের ১৭ নম্বর রোডে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। তার বাবা বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় সেদিনই ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন নাফিজ মো. আলম ওরফে ডন (১৯), নাঈমুর রহমান অনিক (১৯), সাদাফ জাকির (১৬), রায়হান আহমেদ সেতু (১৯), রবিউল ইসলাম (১৮), মো.আখতারুজ্জামান ছোটন (১৯), আহমেদ জিয়ান (১৯), খন্দকার শুভ (১৮) ও নাজমুস সাকিব (২২)।
আরআর