দিদার শফিক: সৌদি আরব থেকে টেলিবিভাগে কর্মরত বিদেশিদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। এ সিদ্ধান্তে সৌদিস্থ টেলিবিভাগে কর্মজীবীদের মাঝে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তারা বেশ উদ্বিগ্ন।
টেলিবিভাগে ভিনদেশিদের অদক্ষ ও ব্যর্থ বলে আখ্যা দেওয়ায় বিদেশিদের মাঝে বহিষ্কৃত হওয়ার উদ্বেগ-হতাশা এখনো বিদ্যমান।
সৌদি গেজেটের সংবাদ মতে, এ কাজে সৌদির দক্ষ ব্যক্তিগণ বলেন, টেলিবিভাগে কর্মজীবী বিদেশিদের সৌদি আরব থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত পুরোপুরিভাবে সফল হয়নি। এর কারণ হিসেবে তারা বলেন, এ বিভাগে এখনো অবৈধভাবে বিদেশিরা রয়েছে। ফলে সৌদি সরকারের এ সিদ্ধান্তের পূর্ণ বাস্তবায়ন বিঘ্নিত হয়েছে।
সৌদি আরবের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টেলিকাজে ভিনদেশি ব্যবসায়ীদের উপর নজর রাখছে। তাদের ব্যাপারে অভিযোগ বিদেশিরা কম দামে মোবাইল সেট বিক্রি করে এবং সুলভ মূল্যে মোবাইল সার্ভিসিং করে থাকে।
অপরদিকে এ সিদ্ধান্তে আপত্তিকারীরা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যানের দাবি করে বলেন, সরকার তার এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রয়োগ করার আগে প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পায়নি।
মার্কেটে নতুন মোবাইল দোকানদার সৌদি নাগরিক হাতেম আস সোলাইমানি বলেন, অতিরিক্ত দোকান ভাড়া সৌদি নাগরিকদের একাজে জড়িত হওয়ার পথে অন্তরায়।
তিনি বলেন, কেউ কেউ তো বছরে দেড় লাখ সৌদি রিয়াল ভাড়া বাবদ নিয়ে থাকেন। ভাড়া এত বেশি হবে এটা আমি কখনো ভাবতে পারিনি। নতুন সৌদি ব্যবসায়ীদের পক্ষে এত অধিক পরিমাণে টাকা পরিশোধ করা সম্ভব নয়।
জানা যায়, কিছু সংখ্যক বিদেশি ব্যবসায়ী নিজের ঘরে মোবাইল–ফোন সার্ভিসিং কাজ শুরু করেছে।
বিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ মানসুর আল গাদি বলেন, টেলিবিভাগে সৌদি নাগরিকদের আনাটা পর্যায়ক্রমে হওয়া উচিত ছিল। সকল বিদেশিদের একসঙ্গে এ বিভাগ থেকে বের করে দিযে দেশীয় লোক আনা অসম্ভব। আমরা চেয়েছিলাম কিছুসময় বিদেশিদের সৌদিদের সাথে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হোক। ফলে তারা তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারবে। কিন্তু এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও অর্থনৈতিক সহায়তা দুটোই বিফল হয়েছে।
সূত্র: কুদরত ডটকম
আরআর