বিদায় নিয়েছে ২০১৬। বিগত একটি বছরের আছে হাসি-কান্না,আনন্দ-বেদনার ইতিহাস।আছে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি,অর্জন ও হারানোর সাতকাহন। ২০১৬ ঘটনাবহুল একটি বছর। এ বছরটিতে মুসলিমজগতে ঘটেছে অনেক কিছুই। মুসলিমবিশ্বে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা নিয়ে ‘২০১৬ ফিরে দেখা মুসলিমবিশ্ব’ লিখেছেন দিদার শফিক।
মহানবিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যে মিসরের বিচারমন্ত্রী বরখাস্ত
১৩ মার্চ, ২০১৬ রোববার
মহানবিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় মিসরীয় বিচারমন্ত্রী আহমদ আল-জিন্দকে ১৩ মার্চ,২০১৬ রোববার বরখাস্ত করা হয়। ‘ আইন অমান্য করলে মহানবি সা:-কে ‘গ্রেফতার’ করা হবে বলে চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্যের জেরে মিসরের প্রধানমন্ত্রী শরিফ ইসমাইল তাকে বরখাস্ত করেন। মিসরের একটি টেলিভিশনে এক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করলে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। তার পদত্যাগের জোর দাবি ওঠে। পরে অবশ্য তিনি মাফ চান। এই পরিস্থিতিতে সরকারি এক ডিক্রিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী শরিফ ইসমাইল আহমদ আল জিন্দকে অব্যাহতি দিয়েছেন’।
উল্লেখ্য, আল জিন্দ মুসলিম ব্রাদারহুডের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
আল জিন্দ আপিল বিভাগের সাবেক বিচারক ছিলেন এবং ২০১১ সালে হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা মুসলিম ব্রাদারহুডের ইসলামিক আন্দোলনের প্রকাশ্যে বিরোধিতা করতেন। ২০১৩ সালে মুসলিম ব্রাদারহুড সামরিক বাহিনীর কাছে উৎখাত হওয়ার আগ পর্যন্ত তার মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরোধিতা অব্যাহত ছিল।
শিয়া নেতা শেখ নিমরসহ ৪৭ জনের শিরশ্ছেদ
২ জানুয়ারি, ২০১৬ শনিবার
২ জানুয়ারি,২০১৬ রোজ শনিবার ।সৌদি আরবে দেশটির শিয়া সম্প্রদায়ের শীর্ষস্থানীয় নেতা শেখ নিমর আল নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা ও রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্তে জড়িত থাকার দায়ে শিরশ্ছেদ করে শেখ নিমরসহ ৪৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ।
শিয়া নেতা শেখ নিমরকে দুই বছর আগে বিক্ষোভ করার সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয়েছিল। ২০১১ সালে সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলে শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন যে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করে, তাতে শেখ নিমর প্রকাশ্য সমর্থন দিয়েছিলেন।
কুরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশি
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত পৃথক পৃথক দুটি আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বসেরা হাফেজ নির্বাচিত হন দুই বাংলাদেশি।
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত পৃথক পৃথক দুটি আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বসেরা হাফেজ নির্বাচিত হন দুই বাংলাদেশি।হাফেজ আব্দুল আখের ও হাফেজ জাকারিয়া।
হাফেজ আব্দুল আখের
১০ -১৭জুন ২০১৬ তুরস্কের ইস্তামবুলের সুলতান ফতেহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় ৫৫টি দেশের ৪৭ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। হাফেজ আব্দুল আখের তাদেরকে হারিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে।১৭ জুন ২০১৬বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগান। হাফেজ আব্দুল আখের তানযীমুল উম্মাহ হিফজ মাদরাসার ছাত্র।
হাফেজ জাকারিয়া
২৬ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর বাহরাইনের রাজধানী মানামায় বিশ্বের ৬০টি দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে হেফজ ও কেরাত দুটি পৃথক বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। হেফজ ও কেরাত দুটি বিষয়েই কিশোর জাকারিয়া এককভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। এই প্রতিযোগিতার ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো এমন বিরল ঘটনা ঘটলো। যা বাংলাদেশের জন্যও বিরল সম্মান বয়ে এনেছে।প্রথম স্থান অর্জনকারী হাফেজ জাকারিয়াকে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হয়। জাকারিয়ার বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে।
কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ সাঈদ এর ইন্তেকাল
০৭ জানুয়ারি
জম্মু ও কাশ্মীরেরর মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ সাঈদ ২০১৬ সালের ০৭ জানুয়ারি তারিখে নতুন দিল্লির এআইআইএ –তে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি কিছুদিন ধরে শাঁসককষ্ঠে ভুগছিলেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়ে ছিলো ৭৯ বছর।
তিনি জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির স্থাপক ও বলিষ্ঠ নেতা তিনি ২০০২-২০০৫ পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮৯-১৯৯০ পর্যন্ত তিনি ভিপি সিঙের প্রধানমন্ত্রীত্বে ভারতের গৃহমন্ত্রী ছিলেন। ভারতের ইতিহাসে তিনিই প্রথম মুসলমান গৃহমন্ত্রী।
মুষ্টিযোদ্ধা মুহাম্মদ আলির মৃত্যু
৩ জুন ২০১৬
কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা ও একুশ শতকের বিশ্বসেরা ক্রীড়াবিদ মুহাম্মদ আলি। ৩জুন ২০১৬ মৃত্যু বরণ করেন। তিনি আজীবন বর্ণবৈষম্য দূরীকরণ, অধিকার আদায় ও বিশ্ব শান্তির জন্য লড়ে গেছেন।
তার পিতৃপ্রদত্ত নাম ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে জুনিয়র । জন্ম ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই জান্যারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকির লুইভিলাতে। ১৯৫৪ সালে ক্লে প্রথম অপেশাদার বক্সিং প্রতিযোগিতায় নামেন। তিনি ছয়বার কেন্টাকি গোল্ডেন গ্লাভস উপাধি, দুইবার জাতীয় গোল্ডেন গ্লাভস উপাধি, একবার অ্যামেচার অ্যাথলেটিক ইউনিয়ন জাতীয় উপাধি এবং রোমে অনুষ্ঠিত ১৯৬০ গ্রীষ্কালীন অলিম্পিকে বক্সিং প্রতিযোগিতায় লাইট হেভিওয়েট বিভাগে স্বর্ণপদক লাভ করেন। অপেশাদার বক্সিং প্রতিযোগিতায় ক্লে ১০০ বার জেতেন ও মাত্র পাঁচ বার পরাজিত হন।
মুহাম্মদ আলি ক্লে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের ২৯শে অক্টোবর পেশাদার বক্সিং প্রতিযোগিতায় প্রথম অংশ নেন। প্রথম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন ১৯৬৪ সালে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন ১৯৬৪ বা ১৯৭৫ সালে। বক্সিং থেকে অবসর গ্রহণ করেন ১৯৭৯ সালে।
আলী শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের বিরোধিতা করে আফ্রিকান আমেরিকান ক্রীড়াজগতের অবস্থান পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে কৃষ্ণাঙ্গদের সমানাধিকার আর আর বাসস্থানের দাবিতে আন্দোলনের অগ্রপথিক ছিলেন মুহাম্মদ আলী। ইসলাম গ্রহণের পর ভিয়েতনাম যুদ্ধে না যাওয়ায় তাকে যুক্তরাষ্ট্র কারাবন্দী করে এবং বক্সিংয়ে তিনি ৩ বছর নিষিদ্ধ ছিলেন। ২০০৫ সালে হো্য়াইট হাউসে ডেকে নিয়ে তাকে দেশটির সর্বোচ্চ সন্মাননা স্বাধীনতা পদক তুলে দেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ।
তিনি ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ সফর করেন।সরকারের আমন্ত্রণে পাঁচ দিনের এই সফরের সময় তাকে বিপুল সংবর্ধনা দেয়া হয় এবং সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৩রা জুন, শ্বাসনালীর সংক্রমণে অ্যারিজোনায় মুহাম্মদ আলী মৃত্যুবরণ করেন।
তার শ্রেষ্ঠ উক্তি- “আই ফ্লোট লাইক এ বাটারফ্লাই, স্টিং লাইক এ বী।” “আমি প্রজাপতির মত উড়ি, মৌমাছির মতো দংশন করি।”
মসজিদে নববিতে নতুন খতিব
৭ অক্টোবর ২০১৬
শুক্রবার ৭ অক্টোবর ২০১৬ জুমার নামাজে প্রথম খুতবা প্রদান ও ইমামতির মাধ্যমে সৌদি আরবে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম মসজিদ, মসজিদে নববির নতুন খতিব হিসেবে নিয়োগ পান শায়খ ড. আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল বুআইজান আত তামিমি। তিনি ছাড়াও মসজিদে নববির আরও ৬ জন খতিব আছেন।
১৪৩৪ হিজরির পবিত্র রমজান মাসে তারাবিহ নামাজের ইমামতির মাধ্যমে শায়খ ড. আবদুল্লাহ বুআইজান মসজিদে নববিতে ইমামতি শুরু করেন। সে বছরই জিলহজ মাসের ৪ তারিখে তিনি মসজিদে নববির পূর্ণাঙ্গ ইমাম হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
শায়খ ড. আবদুল্লাহ বুআইজান মসজিদে নববির এ গুরুত্বপূর্ণ খেদমত ছাড়াও তিনি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শরিয়া’ বিভাগে শিক্ষকতা করেন। তিনি বাদশা ফাহাদ কোরআন কমপ্লেক্সের ইলমি বোর্ডের একজন সম্মানিত সদস্য।
আল আকসা মসজিদ শুধুই মুসলমানদের
১৩ অক্টোবর ২০১৬
ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ শুধুই মুসলমানদের পবিত্র স্থান, এর সাথে ইহুদী ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো একটি প্রস্তাব পাস করেছে গত ১৩ অক্টোবর ২০১৬। পাসকৃত প্রস্তাবটিতে বলা হয়, জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের ওপর ইসরাইলের কোনো অধিকার নেই, আল-আকসা মুসলমানদের পবিত্র স্থান। একই সাথে জেরুজালেমের আল কুদস এলাকায় ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক এ সংস্থাটি
১৩ অক্টোবর প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দফতরে আল-আকসা মসজিদ ইস্যুতে ইসরাইল বিরোধী প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে চীন, রাশিয়া, ইরানসহ ২৪ টি দেশ পক্ষে ভোট দেয়। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও জার্মানীসহ ৬ টি দেশ ভোট দেয় প্রস্তাবের বিপক্ষে। আর ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে ২৬ টি দেশ। প্রস্তাবে মুসলমানদের প্রথম কিবলা ও বর্তমানে তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-আকসা মসজিদ এলাকায় ইসরাইলি সৈন্যদের অবরোধ এবং ওই এলাকার মুসলমানদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে না দেয়ার তীব্র সমালোচনা করা হয়। প্রস্তাবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, আল-আকসা মসজিদের সাথে ইহুদীদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল
২৮ মার্চ, ২০১৬
ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করে সংবিধান সংশোধনের (অষ্টম ও পঞ্চদশ সংশোধনী) বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে জারি করা আলাদা দুটি রুল ২৮ মার্চ ২০১৬ খারিজ করে দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। ফলে বাংলাদেশের সংবিধানে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল থাকছে।
২৮ মার্চ ২০১৬ রোজ সোমবার ২৮ বছর আগের রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নাঈমা হায়দার, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ রিট খারিজের আদেশ দেন। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংক্রান্ত রিটকারীদের আবেদনের ‘অধিকার’ (লোকাস স্টান্ডি) নেই বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন আদালত। ফলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম বহাল রইল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। ২৮ বছর আগে ১৫ বিশিষ্টজনের করা একটি রিট আবেদনের ২৩ বছর পর রুল জারি করা হয়। আর রুল জারির প্রায় ৫ বছর পরে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রুল শুনানির দিন ধার্য হয় ২৭ মার্চ। পরে একদিন পিছিয়ে রুল শুনানির জন্য ২৮ মার্চের কার্যতালিকায় আসে রিট আবেদনটি।২৮ মার্চ আবেদনটির নিষ্পত্তি করে দেয় আদালত।
রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংক্রান্ত রিট আবেদন করার ‘অধিকার’ (লোকাস স্টান্ডি) নেই মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এ রায়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম ধর্ম বহাল থাকার পাশাপাশি অন্য ধর্মের অধিকারও বহাল থাকলো।
উল্লেখ্য,১৯৮৮ সালের ৫ জুন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম জাতীয় সংসদে পাস করা হয়। সংশোধনীতে ২(ক) অনুচ্ছেদ সংযুক্ত করে বলা হয়, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সম-অধিকার নিশ্চিত করিবেন।’ একই বছরের ৯ জুন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মধ্য দিয়ে এটা আইনে পরিণত হয়।
মুহতেরেম আরাস জার্মানির প্রথম মুসলিম স্পিকার
১১ মে ২০১৬
১১ মে ২০১৬ জার্মানির বাডেন উটেমার্গ প্রদেশে পার্লামেন্ট স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হন তুর্কি বংশোদ্ভূত মুহতেরেম আরাস। তিনিই জার্মানির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম স্পিকার। আরাস জার্মানির গ্রিন পার্টির সদস্য। জার্মানির জনপ্রিয় একটি অভিবাসন বিরোধী ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানিকে হটিয়ে স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন।
সাদিক খান লন্ডনে প্রথম মুসলিম মেয়র
৫ মে ২০১৬
৫ মে ২০১৬ লন্ডনের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা সাদিক খান। তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কনজারভেটিভ পার্টির জ্যাক গোল্ডস্মিথের চেয়ে প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মুসলমান।
সাদিক খানের বাবা ছিলেন একজন বাস ড্রাইভার। তিনি পাকিস্তান থেকে ব্রিটেনে আসেন অভিবাসী হয়ে। লেবার পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আগে তিনি একজন মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় কনজারভেটিভ পার্টি সাদিক খানের মুসলিম পরিচয়কে সামনে এনে সাদিক খানের সাথে উগ্রপন্থীদের যোগাযোগ আছে বলে নেতিবাচক প্রচারণা চালালেও নির্বাচনে এর কোন প্রভাব তৈরি হয়নি। তিনি ৮ মে ২০১৬ লন্ডনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আরআর
আরো পড়ুন : ২০১৬’র আলোচিত সাত সঙ্গীত