আওয়ার ইসলাম: সিরিয়াজুড়ে চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেই কিছু এলাকায় সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এর ফলে কোথাও কোথাও বেসামরিক সিরীয় নাগরিকরা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন।
সম্প্রতি রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় সিরিয়ার বিবদমান পক্ষগুলো। এতে সহিংসতার মাত্রা কমলেও কিছু জায়গায় গোলাগুলি, বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ অব্যাহত থাকার কথা জানা গেছে। বিদ্রোহীরা অভিযোগ করেছে, সরকারি বাহিনী ও হিজবুল্লাহ গেরিলারা রাজধানী দামেস্কের উত্তর-পশ্চিমের ওয়াদি বারাদা উপত্যকায় বিদ্রোহী যোদ্ধাদের হটানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এফএসএ ও সিরিয়ার সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর জোট জানিয়েছে, ওই এলাকায় একটি স্থল হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সরকারি বাহিনী। এছাড়া যুদ্ধবিরতির মধ্যেই সরকার-নিয়ন্ত্রিত উপকূলীয় শহর টারটোয়াসে মধ্যরাতের পর নতুন বছরের শুরুতে রবিবার জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ সত্ত্বে সিরিয়াব্যাপী লড়াইয়ের মাত্রা কমে গেছে। বর্তমানে যুদ্ধবিরতিটি ঝুঁকিতে নেই বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এর আগে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
শনিবার নিউ ইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়ে তোলা একটি প্রস্তাব কোনো বিরোধিতা ছাড়াই পাস হয়। প্রায় ছয় বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ বন্ধের চেষ্টায় গত এক বছরে তৃতীয় যুদ্ধবিরতি এটি। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত তিন লাখেরও বেশি মানুষ নিহত এবং এক কোটি ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আল জাজিরা।