এম ওমর ফারুক আজাদ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
আজ দুপুর ১২টা ৩০মিনিটে শুরু হওয়া দীর্ঘ ১৫ মিনিটের মুনাজাতে লাখো মুসল্লির আমিন শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে চারিয়া ও আশপাশের এলাকা।
তাবলীগের শীর্ষ মুরুব্বী মাওলানা যুবাইর এর হেদায়াতি বয়ান পরবর্তী পরিচালনায় উক্ত মুনাজাতে বিশ্বের সকল মুসলমানের কল্যাণ, মুক্তি ও গোনাহ মাপের ফরিয়াদ করা হয় রাব্বে কারীম আল্লাহর কাছে।
মুনাজাতে অংশগ্রহণ করতে সকাল থেকে আশপাশের এলাকা থেকে আসতে থেকে লাখ লাখ মুসল্লি। দলমত ও মতাদর্শ ভুলে মুনাজাতে অংশগ্রহণ করে প্রায় ১৫লাখ মুসল্লি।
সেই সাথে ইজতেমা ও আশপাশের এলাকাকে কঠোর নিরাপত্তার ছাদরে ঢেকে ফেলেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কয়েক হাজার সদস্য। দূর দূরান্তের মুসলমানরাও মুনাজাতে শরীককের সুবিধার্থে হাটহাজারী উপজেলার পক্ষ হতে ইজতেমা মাঠে হতে বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে মাইক স্থাপন করা হয়।
এদিকে মুনাজাতে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণ ও মুনাজাত পরবর্তী কাফেলা সমুহ স্ব স্ব এলাকায় প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি রোড়ের যান চলাচল।
এ ক্ষেত্রে খাগড়াছড়ির যাত্রীবাহী বাসগুলো মানিকছড়ি জিরো পয়েন্ট হয়ে রাঙ্গামাটি রোড় দিয়ে হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি এবং হেয়াকোর গাড়িগুলো নানুপুর-গহিরা সড়ক হয়ে হাটহাজারীতে মিলিত হয়েছে।
উল্লেখ্য প্রথমবারের মত অনুষ্টিত চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ইজতামায় প্রায় ১৫লক্ষ মুসল্লির সমাগম হয়েছে। হাটহাজারী মাদরাসার এক কিলোমিটার উত্তরে মির্জাপুর ইউনিয়নস্থ চারিয়া গ্রামের প্রায় দুই কিলোমিটার বিশাল ময়দানে এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মুসল্লিদের সুবিধার্থে ২৫০০টি শৌচাগার, ১৬টি পুকুর, ১২টি হাউজ ও ১০টি নলকুপ স্থাপন করা হয়। এছাড়াও হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন নিরাপত্তার, স্যানিটেশন সুবিধা, ফ্রি চিকিতসা ও বিদ্যুৎ সেবা প্রদান করে। এছাড়া পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ পানির সুবিধার জন্য ‘আনিস খাল’ কে উন্মুক্ত করে দেন ও এতে ৮০০ফিট দীর্ঘ বাশের ঘাটলা নির্মান করে দেন।
আরআর