হাওলাদার জহিরুল ইসলাম
দেওবন্দ থেকে
দারুল উলুম দেওবন্দের শায়খে সানী, হজরত হুসাইন আহমদ মাদানি রহ.এর খাস শাগরেদ, মাওলানা শাহ আবরারুল হক রহ.এর খলিফা, মরহুম হজরত আল্লামা আবদুল হক আজমি রহ.-এর নামাযে জনাযা স্থানীয় সময় বেলা দেড়টায় হওয়ার কথা থাকলেও সময় পরিবর্তন করে বিকাল তিনটায় পড়া হয়৷ মরহুম হজরতের বড় সাহেবজাদা ও ক'জন নিটক আত্নীয় আজমগড় থেকে আসতে বিলম্ব হচ্ছিলো৷
বেলা আড়াইটার দিকে মরহুম শায়খের মাগফিরাত কামনায় কদিম দারুল হাদিস ভবনে কুরআন ও কালেমায়ে তাইয়্যেবার খতম করে দোয়া করা হয়৷ এর আগে বর্তমান দারুল হাদিসে সাড়ে ১১টার হজরত আল্লামা সাঈদ আহমদ পালনপুরী (দামাত বারাকাতুহুম) দাওরায়ে হাদিসের সকল ছাত্রকে নিয়ে বিশেষ মোনাজাত করেন৷
বিকাল সোয়া তিনটায় নামাজের সবাইকে কাতারে দাঁড়াতে বলা হয়৷ অমনি হাজার হাজার মুসল্লি দারুল উলুমের কদিম দারুল হাদিস ভবন সংলগ্ন মাঠ, দারুল হাদিস, নওদারা, এহাতায়ে মুলসুরিতে সারিবদ্ধ হতে থাকে৷ নামাজের কাতার সদরগেট ছাড়িয়ে মেহমানখানায় গিয়ে পৌঁছে৷
আশপাশের সকল মাদরাসা, সাহারাপুর মাদরাসাসহ দূর দূরান্ত থেকে মানুষ জানাযার নামাজে শরিক হতে আসে৷
৩টা ৩৫ মিনিটেও অপেক্ষা করা হয়৷ মুহাতামিম সাহেব, আরশাদ মাদানি সাহেব, নায়েবে মুহতামিম সাহেবসহ সবাই জানাযার পাশে তখন উপস্থিত৷
অবশেষে বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে মাওলানা সাইয়্যিদ আরশাদ মাদানি’র ইমামতিতে নামাযে জানাযা শুরু হয়৷
নামাজ শেষে মরহুম শায়খের জানাযার খাটিয়া নিয়ে রওনা করা হয় দেওবন্দের মাকবারায়ে কাসেমির দিকে৷ এসময় প্রচণ্ড ভিড়ের সৃষ্টি হয়৷ সবাই চাচ্ছিলে শায়খের বহনকারী খাটিয়া একটু হবন করে সৌবাগ্যবানদের কাতারে নিজেকেও শামিল করবেন৷ মাদানি গেট হয়ে খাটিয়া বহন করে নিয়ে যাওয়া হয় মাকাবারায়ে কাসেমিতে৷ পরে হাজার হাজার উলামা-তলামা, আমজনতা প্রিয় শায়খকে চির বিদায় জানিয়ে দাফনের কাজে শরিক হয়৷
দাফন কার্য সম্পন্ন হয় বিকাল সাড়ে চারটার দিকে৷ অতিরিক্ত ভীড় ঠেকাতে দারুল উলুম কর্তৃপক্ষ আগেই সেখানে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছিলেন৷
মহামহিম তাকে জানন্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন৷ আমিন!
আরআর