আওয়ার ইসলাম: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষক সংগঠন বাংলাদেশ মাদরাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে সাংবাদিক সম্মেলনে মাদরাসাসহ সকল বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করাসহ ৮ দফা দাবি উপস্থাপন করেন সংগঠনের মহাসচিব মোঃ জহির উদ্দিন হাওলাদার।
এ সময় তারা আক্ষেপ করে বলেন, সারাদেশে স্কুল-কলেজ জাতীয়করণ করলেও এখন পর্যন্ত একটি মাদরাসাও জাতীয়করণ করা হয়নি। যা শিক্ষা ব্যবস্থায় চরম বৈষম্য। তারা আরো বলেন, স্কুল-কলেজ জাতীয়করণের সাথে সাথে মাদরাসাও জাতীয়করণ করতে হবে এবং জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর আলোকে ২০১৩ সালে জারীকৃত সংশোধিত পরিপত্র বাতিল করে ২০১২ সালে জারীকৃত পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। এ বিষয়ে শিক্ষক নেতারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বর্ষবরণে মুসলিম বনাম পশ্চিমা সভ্যতা
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিরি সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম, সহ সভাপতি মোঃ রিয়াজুল করিম, মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ নাজমুল হোসেন, কে.এম সালাউদ্দিন, মোঃ আকতার হোসেন, মোঃ আমির উদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল বারী হেলাল, যুগ্ম মহাসচিব হোসনি মোবারক, নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জহিরুর ইসলাম, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, হানিফ উদ্দিন খান, ইয়াছিন আলী, দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, অর্থ সম্পাদক লুৎফর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ আওছাফুর রহমান, কার্যকরী সদস্য শফিউল আজম ও কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে নিম্ন লিখিত দাবিসমূহ উত্থাপন করা হয়- “মাদরাসাসহ সকল বে-সরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ, জাতীয় শিক্ষানীতি- ২০১০ এর আলোকে জারীকৃত ২০১২ সালের পরিপত্র বহাল এবং ২০১৩ সালে জারিকৃত সংশোধিত পরিপত্র বাতিল, ৫% ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, সম্মানজনক বাড়ি ভাড়া প্রদানসহ প্রতিটি আলিম/ফাজিল (পাস) মাদরাসায় বিজ্ঞান ভবন নির্মাণ, আলিম/ফাজিল পর্যায়ে প্রতি বিষয়ে দ্বিতীয় শিক্ষক নিয়োগ, জনবল কাঠামোয় প্রদর্শক ও গ্রন্থাগারিক পদ অন্তর্ভূক্ত, সহকারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৫:২ অনুপাত প্রথা বাতিল, এমফিল/পিএইচডি ডিগ্রীধারী প্রভাষকের চাকরিকাল ৪ বছর পূর্তিতে সহকারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ/স্নাতক (পাস) কলেজের মতো আলিম/ফাজিল (পাস) মাদরাসায় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী সংখ্যা বৃদ্ধি।
আরআর