ঢাকার দক্ষিণখানের আশকোনায় জঙ্গি আস্তানায় শিশুসহ বেরিয়ে এসে বিস্ফোরণ ঘটানো নারী নিহত হয়েছে। এর আগে সকালে চারজন আত্মসমর্পণ করেছে ও একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
বেলা তিনটার দিকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন সুইসাইড ভেস্ট বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ওই নারী।
তার সাথে থাকা শিশুটিকে অবশ্য রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিলো।
এরপরেও বাসাটির ভেতর থেকে আরো একজন গ্রেনেড ছুঁড়ছিলো, যদিও শেষ দিকে তার আর সাড়াশব্দ পাচ্ছিলোনা পুলিশ।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ঘটনাস্থলে এসে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সাংবাদিকদের বলেন এক নারীসহ দুজন নিহত হয়েছে ।
সকালে দুই শিশুসহ দুজন নারী আত্মসমর্পণের পর পুলিশ বলেছিলো বাড়িটিতে আরও অন্তত তিনজন অবস্থান করছে।
পরে দীর্ঘসময় ধরে তাদের আত্মসমর্পণের আহবান জানানো হয়েছিলো পুলিশের তরফ থেকে।
এরই এক পর্যায়ে নিহত নারী একজন শিশুসহ দরজা খুলে বেরিয়ে এসে সুইসাইড ভেস্ট বিস্ফোরণ ঘটায়।
এতে সাথে থাকা শিশুটি সেখানেই আহত হয় আর আহত নারীকেও কিছুটা দুরে পরে থাকতে দেখা যায়।
তখন পুলিশ এটিকে গ্রেনেড বিস্ফোরণ বলে জানিয়েছিলো।
মিস্টার ইসলাম জানান এরপরেও ভেতরে থাকা অপরজন ভেতর থেকে গ্রেনেড ছুঁড়ছিলো।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশকেও টিয়ারশেল ও গুলি ছুঁড়তে হয়েছে।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য তারও মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেন।
ওদিকে পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া আগেই জানিয়েছিলেন যে যারা আত্মসমর্পণ করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে ঢাকার রূপনগরে নিহত জঙ্গি মেজর (অব) জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও সন্তান এবং পলাতক জঙ্গি মুসার স্ত্রী।
আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত নারীর পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আর ভবনের ভেতরে আরও যিনি রয়েছেন তিনি ঢাকার আজিমপুরে অভিযানে নিহত জঙ্গি তানভির কাদরীর পুত্র বলে ধারণা করছে পুলিশ।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
আস্তানা থেকে বেরিয়ে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটালেন নারী