সুজন হোসেন : আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো মাদারীপুরে জুট মিল মাঠে আয়োজিত ইজতেমা।
শনিবার বেলা ১২টা পর পরই ইজতেমার মোনাজাত শুরু হয়। হেদায়াতি বয়ান শেষে কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। মোনাজাতে বিশ্বের সমস্ত মানুষের শান্তি কামনা করা হয়।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উত্তর পাশে এ.আর হাওলাদার জুট মেইলের মাঠে তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে এ ইজতেমার আয়োজন করা হয়। লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে ১৫ডিসেম্বর বৃস্থপতিবার ভোরে ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার মূল অনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
শনিবার বেলা ১২টার আগেই ইজতেমা মাঠসহ আশপাশ এলাকা লাখো মুসল্লিতে ভরে যায়। পরে ২০ মিনিটের আখেরি মুনাজাতে অংশ নেয় গোটা মাদারীপুর জেলাসহ আশপাশ এলাকার সব শ্রেণি পেশার মানুষ। প্রায় দুই লক্ষাধিক মুসল্লির ‘আমিন, আমিন ধ্বনিতে’ ইজতেমা ময়দান মুখরিত হয়ে উঠে। এ সময় আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে মুসল্লিরা কাঁদতে থাকেন। মোনাজাতে মাদারীপুর জেলাসহ দক্ষীনবঙ্গ ও আশপাশের বিভিন্ন জেলা এবং বেশ কয়েকটি দেশের জামায়াত অংশ নেয়। বিশ্ব ইজতেমায় দেশী-বিদেশী তবলীগের সাথী ও মাওলানারা উপস্থিত থেকে কুরআন ও বিশ্ব-নবীর সুন্নাতের কথা আলোচনা করেন। এবং ইজতেমার মাঠে শুক্রবার বিকালে প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেদের খুৎবা পড়িয়ে বিবাহ সম্পূর্ণ করা হবে।
এদিকে মোনাজাতে অংশ নেয়ার জন্য মাদারীপুর বণিক সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শনিবার সকাল ১০ থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়। বিশ্ব ইজতেমার অংশ হিসেবে মাদারীপুর এই প্রথমবারের মত জেলা ভিত্তিক ইজতেমা পরিচালনা করেন। পুরো ইজতেমা মাঠে নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা ছিল। পুলিশ প্রশাসন এবং পুরো ইজতেমার ময়দানটি সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছিল। ৩দিন ব্যাপী এই ইজতেমা ১৫ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ১৭ ডিসেম্বর শনিবার দুপুর ১টায় আখেরী মোনাজাত মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. জিয়াউল মোর্শেদ জানান আমরা ইজতেমার জন্য প্রশসনের পক্ষ হতে সকল প্রকার ব্যবস্থা নিয়েছি, যাতে কোন প্রকার অর্পিতিকর ঘটনা ঘটে নাই।
আরআর