আওয়ার ইসলাম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৮ বছর বয়সের আগে আদালতে অনুমতি নিয়ে বিয়ের বিষয় সংবলিত বাল্যবিবাহ আইনে ‘অত্যন্ত বাস্তব সম্মত একটা চিন্তা। এ নিয়ে ঘাবড়াবার কিছু নেই।
প্রত্যেক আইনেই নমনীয়তার সুযোগ থাকে। আইন অনঢ় হতে পারে না। যদি কোন অনাকাঙ্খিত অবস্থার সৃষ্টি হয়, তাহলে সেখানে কি করণীয় তার একটা সুযোগ অবশ্যই দিতে হবে। সেটা যদি না দেয়া হয় তাহলে এই সমাজের জন্য অনেক বড় একটা বিপর্যয় নেমে আসবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ১৩তম অধিবেশনে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশে ওয়েস্টার্ন কান্ট্রিতে অনেক দেশে ১৪ বছর বিয়ের বয়স। কোথাও আছে ৯ বছর বিয়ের বয়স। সেই সব জায়গায় ইউরোপ-ইংল্যান্ড-আমেরিকায় টিন এজ মাদার এর সংখ্যা অসংখ্য। এটা একটা সামাজিক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে গেছে। কারণ এই সমস্ত বাচ্চা মেয়েরা ১২/১৩/১৪ বছরে মা হয়ে যায়। দুই তিন বছর বাচ্চাকে লালন পালন করে বাবা-মার কাছে সন্তানকে রেখে সে তার মতো চলে যায়। ওয়ের্স্টান কান্ট্রিতে এটা কোন বিষয় না। আমাদের দেশে এটা আমরা মেনে নেই না।
প্রধানমন্ত্রী বাল্য বিয়ে আইনের সমালোচনাকারীদের বলেন, কিছু কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এটা নিয়ে অনেক কথা বলছে। যারা কথা বলছেন, তারা কিছু একটানা দুই-চার বছর গ্রামে বসবাস করে নাই। তাদের গ্রাম সম্পর্কে, গ্রার্মের আর্থ সামজিক অবস্থাসম্পর্কে তাদের কোন ধারণাই নাই।
তারা দুইটা এনজিও করে পয়সা কামায়। তারা এই বাস্তবতা নিয়ে চিন্তা করেন না বলে এ কথা বলেন। তাদের কোন দায়িত্ব নেই। কিন্তু আমার আছে। আমি যতক্ষণ সরকারের আছি আমি মনে করি এটা আমার দায়িত্ব। সমাজে সে মেয়ে ও সন্তানটাকে জায়গা করে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছি। তাই বিশেষ বিধানটা আমি রেখেছি। এটা অত্যন্ত একটা বাস্তবসম্মত চিন্তা, যেটা সম্পর্কে উনাদের কোন ধারণা নেই।
আআ