আওয়ার ইসলাম: স্কুলগামী ৩৩ শতাংশ ছাত্রীর দৃষ্টিতে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনিরাপদ। প্রতিষ্ঠানের দেয়াল ও খুটিতে থাকে অশ্লীল ছবি ও লেখা। স্কুলে থাকে না নিরাপত্তারক্ষী। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থী, এমনকি বহিরাগতদের হাতে তারা নির্যাতিত হয়। আর স্কুলে যাতায়াতের পথে তাদের নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
তথ্যচিত্রে এমনটাই উঠে এসেছে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) পরিচালিত এক জরিপে। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে 'নারী ও কিশোরীদের প্রতি সহিংসতা নিরসনে নিরাপদ স্কুল ও নিরাপদ সমাজ' শীর্ষক পরামর্শ সভায় মূল প্রবন্ধে জরিপের এ তথ্য তুুলে ধরেন বিএনপিএসের সমন্বয়কারী ফয়সাল বিন মজিদ।
সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীরের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, ইউএন-ওমেনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি ক্রিস্টিন হান্টার সহ অন্যান্যরাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, 'নারীর প্রতি সহিংসতা গণতন্ত্র, নারী-পুরুষ সমতা ও মানবাধিকারের অন্তরায়। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা নির্যাতিত হবে—এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।' শিক্ষদের যথাযথ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রত্যেক স্কুলে কাউন্সেলিং ও নারী শিক্ষার্থীদের আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহবান জানান তিনি।
ক্রিস্টিন হান্টার বলেন, 'নারীরা ঘরে-বাইরে যৌন নির্যাতনসহ নানা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতা ও ঝুঁকির কারণে তাদের স্বাভাবিক বিকাশও ব্যাহত হচ্ছে।' তিনি যৌন নির্যাতন বন্ধে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মেনে চলার আহবান জানান।
এবিআর