শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


‘মিয়ানমারে হত্যা কেন?’ স্লোগানে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় লাখো মানুষের বিক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আমিনুল ইসলাম হুসাইনী
ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া

b-baria19

মিয়ানমারে বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের দ্বারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর অমানুষিক নির্যাতনের প্রতিবাদ ও বাংলাদেশের বর্ডার খুলে দেওয়ার দাবিতে ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া হেফাজতে ইসলাম ও এদারায়ে তালিমীয়া'র যৌথ উদ্দেগে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় এক বিশাল গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলে ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার সকল কওমি মাদরাসার ছাত্র শিক্ষক, মিডিয়া কর্মী, আইনসৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রায় লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা অংশগ্রহণ করেন।

মিছিলে অংশগ্রহণকারী মুসলমানদের স্লোগান ছিল, 'মিয়ানমারে হত্যা কেন? জাতিসংঘ জবাব দাও।’ ‘বর্ডারগেট বন্ধ কেন? শেখ হাসিনা জবাব দাও।’

b-baria20স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয় ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া সহর। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান শড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে কাউতলী মোড়ে এসে গণসমাবেশে রূপ নেয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া জেলা হেফাজত সহঃসভাপতি আল্লামা সাজিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আল্লামা মুফতি মুবারকুল্লাহ, আল্লামা জুনায়েদ আল হাবিব, আল্লামা মুনীরুজ্জামান সিরাজিসহ আরো অসংখ্য নেতৃবৃন্দগণ।

সমাবেশে আল্লামা মুবারকুল্লাহ বলেন, 'রোহিঙ্গা মুসলমানের কান্নায় পৃথিবীর আকাশ ভারি হয়ে ওঠছে। মিয়ানমারের বর্বর সরকার তাদের ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে। বাংলাদেশের মুসলমান শান্তিপ্রিয়। নতুবা, এদেশে একটা বৌদ্ধও থাকতে পারত না।’

তিনি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি বিশ কোটি মুসলমানের প্রধান মন্ত্রী, আপনি যদি সত্যিই একজন মুসলমান হন তাহলে অনতিবিলম্বে সীমান্ত খুলে দিন। আপনি যেমন মানুষ, তারাও মানুষ। সুতরাং মানবতার জন্য হলেও সীমান্ত খুলে দিন।'

আল্লামা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, 'মাননীয় সরকার যদি ভারতের একটি হাতিকে আশ্রয় দিতে পারে তাহেল নিরাশ্রয় মুসলমানদের এদেশে আশ্রয় হবে না কেন? সরকার যদি তাদের প্রতিপালন করতে না পারে তাহলে এদেশের জনগণ তাদের প্রতিপালন করবে।

আল্লামা সাজিদুর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি অচিরেই সিমান্ত খুলে না দেন এবং মিয়ানমারের দুতের মাধ্যমে এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিহত ব্যবস্থা না করেন, তাহলে মিয়ানমারের দুতাবাস ঘেরাও এবং মিয়ানমার অভিমুখী লংমার্চ কার্যক্রমের ঘোষণা করা হবে।'

সমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা মুনীরুজ্জামান সিরাজি বলেন, 'যদি সরকার অনতিবিলম্বে সিমান্ত খুলে না দেয় এবং জাতিসংঘে এই নির্বিচার হত্যার প্রতিবাদ ও তা বন্ধের ব্যবস্থা না করেন তাহলে পরবর্তীতে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।'

দুপুর সাড়ে বারটায় মোনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশ শেষ হয়।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ