আওয়ার ইসলাম: বিভিন্ন দেশের নাগরিক যাদের জঙ্গিক্ষেত্রে অর্থায়ন-প্রশিক্ষণ ও আশ্রয়দাতা হিসেবে সন্দেহের তালিকায় নাম আছে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন তাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করতে যাচ্ছে।
মার্কিন সংবিধান মেনে গঠিত ট্রাম্পের অন্তবর্তী দলের মনোনীত চিফ অব স্টাফ রেঞ্চ প্রিয়েবাস মুসলিম দেশগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে এই মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন, অভিবাসীদের ধর্মভিত্তিক নিবন্ধনের পরিকল্পনা নেই ট্রাম্প প্রশাসনের। সামগ্রিকভাবে ইসলাম নিয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীও। তবে অভিবাসী বাছাইয়ের ভালো ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন মুসলিম দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে ঢালাওভাবে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা নেমে আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তা হতে যাওয়া এই রক্ষণশীল ব্যক্তি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এবং এনবিসি নিউজকে দেওয়া পৃথক পৃথক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির রূপরেখা তুলে ধরেন তিনি। এতে আগামি দিনের অভিবাসন নীতিতে ব্যাপক কঠোরতার আভাস পাওয়া যায়।
ট্রাম্পের অন্তবর্তী প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিদের ইসলাম বিদ্বেষ আর সাম্প্রতিক সব মন্তব্যে একটি প্রশ্ন জোরালো হয়ে উঠেছে। তা হলো মুসলমানদের জন্য দেশটি সত্যিই দরজা বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে কিনা। রাজনীতি বিশ্লেষকরাও মনে করেন, অভিবাসীদের বিতাড়িত করা কিংবা তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন সর্বোচ্চ কঠোরতা আরোপ করতে পারে। সবমিলে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন অভিবাসনীতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকেল ফ্লিনের সাম্প্রতিক এক মুসলিমবিদ্বেষী মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। ক’দিন আগে তিনি মন্তব্য করেন, মুসলিমদের ভয় পাওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। রবিবার (২০ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ অনুষ্ঠানে প্রিয়েবাসের কাছে ফ্লিনের ওই মন্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়।