আওয়ার ইসলাম: সংযুক্ত আরব আমিরাতের ১৯তম ‘ফাতেমা বিনতে মোবারক’ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি রাফিয়া হাসান জিনাত ৮ম স্থান অধিকার করেছে।
রাফিয়া আলহাজ্ব হাফেজ কারি নেছার আহমাদ আন নাছিরী পরিচালিত যাত্রাবাড়ীর বিশ্বসেরা হিফজ মাদরাসা মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনালের ছাত্রী।
হাফেজ রাফিয়া হাসান জিনাত ৮ম স্থান অর্জন করাই আমিরাতের প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভীষণ খুশি। তাদের সম্মানে যুক্ত হয়েছে নতুন পালক।
পুরস্কার হিসেবে রাফিয়া বাংলাদেশি টাকায় নগদ ১৩ লাখ টাকা, গোল্ড মেডেল, আন্তর্জাতিক সনদ ও ক্রেস্ট লাভ করেছেন।
শুধুমাত্র নারীদের জন্য আয়োজিত আন্তর্জাতিক এ কোরআন প্রতিযোগিতায় মোট ৮৪টি দেশ অংশ নিয়েছিল।
দুবাইয়ের বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি ক্লাবের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের স্ত্রী ফাতিমা বিনতে মোবারক উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দুবাইয়ের শাসকের স্ত্রী হিন্দ বিনতে মাকতুম বিনতে জামিয়া আল মাকতুম।
দুবাই অ্যাওয়ার্ড নামে খ্যাত আন্তর্জাতিক এ কোরআন প্রতিযোগিতার প্রধান ইবরাহিম মুহাম্মদ বুমালহা বিশেষ বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্যে তিনি সফলভাবে প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হওয়ায় বিচারকমণ্ডলী ও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নানাভাবে সহায়তা প্রদান করার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সম্মাননা প্রদান করেন।
পটুয়াখালী বাউফল -এর হাফেজ রাফিয়ার বাবার নাম মাওলানা নাজমুল হাসান। মাতা যারিয়াতুন্নেসা (লাকী)।
এর আগে রাফিয়া হাসান জিনাত ২০১৩ সালে জর্ডানে অনুষ্ঠিত বিশ্ব হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ৩য় স্থান অর্জন করেছিলেন।
উল্লেখ্য, মারকাজুত তাহফিজের ছাত্ররা প্রতিবছরই বিভিন্ন দেশে গিয়ে বিশ্ব কুরআন প্রতিযোগিতায় শতাধিক দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বাংলাদেশের জন্য দূর্লভ সম্মান বয়ে আনে। এ পর্যন্ত শুধু সৌদি আরব থেকেই ৭ জন হাফেজে কুরআন প্রথম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করে। এছাড়াও মিশর, দুবাই, আলজেরিয়া, লিবিয়, ইরান, তুরষ্ক, বাহরাইন, গাম্বিয়া, কুয়েত,কাতার ও জর্ডানে বিশ্ব কুরআন প্রতিযোগিতায় বারবার পুরষ্কার অর্জন করেছে।
এআর