ঝালকাঠি: ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার আমতলা বাজারে আবদুস ছালাম খান (৬২) নামে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল নিয়ে গেছে পুলিশ। এখানে তাঁর লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে।
নিহত আবদুস ছালাম খানের বাড়ি ভাণ্ডারিয়া উপজেলার শিয়ালকাঠি এলাকায়। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শিক্ষকতার কাজে ওই মুক্তিযোদ্ধা আমতলা এলাকার এক শিক্ষিকার বাড়িতে যান। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাচ্চু হাওলাদার ও শাহআলমের নেতৃত্বে সাত-আটজন ব্যক্তি শিক্ষিকার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে ওই মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে আহত করে। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেন। আজ সকালে নিজ বাড়িতেই ওই মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়।
রাজাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শাহ আলম নান্নু বলেন, নিহত আবদুস ছালাম খান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
ঘটনার খবর পেয়ে আজ সন্ধ্যায় রাজাপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মুরাদ খান বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মুরাদ খান অভিযোগ করেন, ‘বাবা একজন বয়স্ক মানুষ। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় বাচ্চু হাওলাদার ও শাহ আলমের সঙ্গে বাবার দ্বন্দ্ব হয়। সেই থেকে তারা আমার বাবার পেছনে লেগে ছিল। পরিকল্পিতভাবে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসি দাবি করছি।’
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনীর উল গিয়াস বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
আরআর