শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

মই দিয়ে ব্রিজ পারাপার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

এম এ মান্নান, ফুলপুর থেকে
fulpur6ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামে মই দিয়ে পার হতে হয় ব্রিজ। লাখ লাখ টাকা খরচ করেও জনগণের ভোগান্তির হয়নি কোন সূরাহা।

জানা যায়, রামভদ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্রে খরিয়া নদীর সংযোগ স্থলের প্রায় তিনশ ফুট জায়গার মধ্যে এক বছর পূর্বে মাত্র ৪০ ফুট বাই ১৪ ফুট একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ফলে, উভয় পাশে মাটি না থাকায় পানি মাড়িয়ে বাঁশের মই বেয়ে ব্রিজে ওঠে নদী পার হতে হয়।

এলাকাবাসী জানান, সিঙ্গিমারি, রামভদ্রপুর, চরবাহাদুরপুর, চরনিয়ামত, বৈঠামারি, মহিষমারি, রেহাইতারাপুর, সেনেরচর, ডেবুয়ারচর, সিকদাপাড়া, চরবসন্তী গ্রামসহ আশপাশ এলাকার ছাত্রছাত্রী, কৃষক ও সাধারণ লোকজন এ পথ দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। নদী পারাপারের কষ্ট থেকে পরিত্রাণের জন্য এ এলাকার মানুষের প্রাণের দাবী ছিল একটি ব্রিজ। সেই কাঙ্খিত ব্রিজ পেয়েও দূর হয়নি দূর্ভোগ।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন জানান, বড় ব্রিজের বরাদ্দ না থাকায় ছোট ব্রিজ দেয়া হয়েছে। পরে এর সাথে আরেকটি সংযুক্ত ব্রিজ করা হবে।

এ ব্যাপারে রামভদ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, ব্রিজের দু’পাশে সংযোগ সড়ক করলেও তা টিকবে না কারণ প্রায় তিনশ ফুট জায়গায় ব্রিজ করা প্রয়োজন থাকলেও ব্রিজ হয়েছে মাত্র চল্লিশ ফুট। তাই ব্রিজটি সম্প্রসারণের চেষ্টা চলছে।

উপজেলার সিঙ্গিমারি গ্রামের মতিউর রহমান জানান, ব্রিজ না থাকায় আমরা খুবই পিছিয়ে আছি। উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাই না এমনকি ভাল জায়গায় আত্মীয়ও করতে পারি না।

রামভদ্রপুর গ্রামের আদম আলী জানান, নির্মিত ব্রিজের সাথে জোড়া লাগিয়ে আরেকটি ব্রিজ নির্মাণ করলে কোন মতে চলা যেত।

একই গ্রামের আবুল হোসেন ও রমজান আলীও তাদের কষ্টের কথা জানান। ছাত্রছাত্রীরা নদী পার হতে গিয়ে বই পুস্তক নিয়ে নদীতে পড়ে যাওয়ার ঘটনা অহরহ। বৃদ্ধ ও রোগীদের দূর্ভোগের কথা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। তারা সব সময় মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে থাকেন। এমতাবস্থায়, এই চরম দূর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া এখন এলাকাবাসির প্রাণের দাবী।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ