এম ওমর ফারুক আজাদ; ফটিকছড়ি
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাগান বাজার ইউপি চেয়ারম্যানের রুস্তম আলীর বিরুদ্ধে গৃহপরিচারিকাকে (কাজার মেয়ে) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহত গৃহপরিচারিকা শিরিন আক্তার (২৯) এর পিতা তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় চেয়ারম্যান রুস্তম আলী ও তাঁর ছেলে সাইফুল ইসলামসহ ১১ জনকে আসামী করা হয়েছে।
অভিযোগ আমলে নিয়ে তা এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভূজপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। গত (৩ নভেম্বর) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুন্সি মো.মশিউর রহমান এ আদেশ দেন। গত ২৭ অক্টোবর রাতে এ
হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটলেও তা এতদিন গোপন রাখেন ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইমরানুল করিম পারভেজ অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটলেও তা এতদিন গোপন রাখেন ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইমরানুল করিম পারভেজ অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ২০১১ সালে একই ইউনিয়নের ফুলছড়ি গ্রামের নুরুল আমিনের সঙ্গে বিয়ে হয় শিরিনের। কিছুদিন সংসার করার পর তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর শিরিন বাগানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান রুস্তম আলীর বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ শুরু করেন। রুস্তম আলীর স্ত্রী মারা যাওয়ার পর শিরিনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েন রস্তম। এ সময় শিরিনকে স্ত্রীর মর্যাদায় রাখবেন বলেও আশ্বস্ত করা হয়। শিরিনকে সেখান থেকে নিয়ে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও বাধা দেন চেয়ারম্যান রুস্তম। এর মধ্যে গত ২৮ অক্টোবর শিরিনের মৃত্যুর খবর পান পরিবার। পরে তারা সেখানে যান। এ সময় রুস্তম আলী শিরিনের মাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে শিরিনের বাবা-মাকে হুমকি দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখান বলে সূত্রে জানায়।
শিরিনের বাবা তাজুল ইসলাম বলেন, মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে। তারপর মরদেহ গুম করেদেয় তারা। বিষয়টি সম্পূর্ণ গোপন রেখে তারা নানা চক্রান্ত করছে। এ ব্যাপারে, চেয়ারম্যান রুস্তম আলীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইলে ফোন করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার ছেলে সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাবা রুস্তম আলী গত এক সপ্তাহ আগে চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়া গেছে, হত্যাকন্ডের ব্যাপারে আমরা কিছু জানিনা। ওই মেয়ের আমরা চিনি না। মামলার ব্যাপারে আমি শুনেছি মামলা হয়েছে তবে বিএনপি-জামায়াতের কিছু নেতা আমাদের মান-সম্মান নষ্ট করা জন্য এ কাজ করছে।
এ ব্যাপারে ভূজপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ প্রথমে বলেন এ ধরনের কোন আদেশের কপি পাননি। পরে বলছে পেয়েছি। কখন পেয়ে পেয়েছেন বলা হলে তার কোন উত্তর দেননি।
আরআর