আওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ইসলামে চরমপন্থা বা সন্ত্রাসের স্থান নেই। যারা ইসলামকে সন্ত্রাসবাদের সাথে এক করে দেখে তারা ইসলামের পক্ষের শক্তি নয়। ইসলামে জিহাদ আছে কিন্তু সন্ত্রাসবাদ নেই। কাজেই ইসলামের জিহাদকে সন্ত্রাসবাদের সাথে এক করে ফেলা ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে দেশে দুর্নীতি মহামারী আকার ধারণ করেছে। সর্বত্র দুর্নীতিবাজরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দুর্নীতিবাজদের প্রতিরোধে সরকার ব্যর্থ। দুর্নীতি দমনে ইসলামের বিকল্প নেই।
সোমবার (৭ নভেম্বর’১৬) লক্ষীপুরে নছীর উদ্দিন আহমদ ভূঁইয়া মিলনায়তনে ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আল্লামা খালিদ সাইফুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, আল্লামা মিজানুর রহমান সাঈদ, আল্লামা জাফর আহমদ, আল্লামা মুফতি ইদ্রিস কাসেমী, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা আবদুল হান্নান, মুফতি মামুনুর রশিদ, মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা নিজাম উদ্দিন, মাওলানা আবু নাছের আব্দুল্লাহ, মাওলানা হারুন, মাওলানা মুহিউদ্দিন, মাওলানা জহির উদ্দিন, মাওলানা হাফেজ আব্দুর রহীম, মুফতি হাবীবুল্লাহ, মাওলানা আহম নোমান সিরাজী, মুফতি ফজলুর রহমান।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, দেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী কওমি মাদরাসা পড়ুয়া। কওমি সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এটা তাদের অধিকার। এটা কারো দয়া বা অনুগ্রহ নয়। সরকারের যদি ন্যুনতম ইসলামের প্রতি দরদ থাকে কওমির স্বকীয়তা বজায় রেখেই সনদের স্বীকৃতি দিতে হবে।
তিনি বলেন, জাতি বিধ্বংসী শিক্ষানীতি বাতিল করতেই হবে। সরকার মুখে ইসলামের স্বার্থে কাজ করছে বললেও সিলেবাস সংশোধন না করে মুসলমান সন্তানদের হিন্দুত্ববাদ ও হিন্দুত্ববাদে নিয়ে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর প্রথম মৌলিক মানবাধিকার চুক্তি বলে খ্যাত মদীনা সনদ-এ অমুসলিমদের ধর্ম-দর্শন, সমাজ ও সংস্কৃতিকে পরিপূর্ণভাবে হস্তক্ষেপমুক্ত রাখা হয়েছে। তিনি এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ কাজের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এসব সিন্ডিকেটিভ কর্মকান্ডের লক্ষ্য হচ্ছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাঁধিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। বর্তমান পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার জন্যই বিশেষ মহল এ অপকর্ম করেছে, যা উদঘাটন করা সরকারের দায়িত্ব।
আরআর