রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আবারও সোনার দামে রেকর্ড ডেমরা যাত্রাবাড়ীর ৬০০ শিক্ষার্থীকে ট্রাফিক সম্মাননা প্রদান কিশোরগঞ্জ নিকলীর হিলচিয়া মাদরাসা থেকে ছাত্র নিখোঁজ, সন্ধান চেয়ে পরিবারের আকুতি হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটি ঘোষণা উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই: ধর্ম উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম অন্তর্ভুক্তির দাবি হেফাজতে ইসলামের সিংগাইরে হেফাজতে ইসলামের গণসমাবেশ ২৯ সেপ্টেম্বর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা হলে ‘হাত ভেঙে’ দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘জুলাই বিপ্লবে আলেম-শিক্ষার্থীদের অবদান ও প্রত্যাশা’ নিয়ে আলোচনা সভা সোমবার সিলেটে অনুষ্ঠিত বিহানের ‘লেখালেখি ও এডিটিং কর্মশালা’

ইসলামে নারী শিক্ষার গুরুত্ব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

9db203e7d7ff61c636cc83a54de2123a00c7dde9dfdfe0cf3e9097fd3e9f5ac4আওয়ার ইসলাম: উপযুক্ত শিক্ষালাভই সুস্থ পারিবারিক, সামাজিক ও নাগরিক জীবন গঠনে প্রথম পদক্ষেপ। তাই পবিত্র ইসলাম ধর্মে শিক্ষার উপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ আদি মানব হযরত আদম (স.) কে সৃষ্টি করে ধূলির ধরায় তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানোর পূর্বে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিলেন (আল কোরআন-২ : ৩০, ৩১)। ঐশী গ্রন্থ পবিত্র কোরআনের সর্ব প্রথম প্রত্যাদেশ পাঠ কর, তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে রক্তপি- হতে। পাঠ কর। তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি অতি দানশীল। তিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন; শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না (৯৬ : ১, ২, ৩, ৪, ৫ )। এভাবে বিশ্বপ্রভু মানুষকে সর্বাগ্রে লেখাপড়া শেখার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) ও তাঁর অনুসারীদের জ্ঞানার্জনের জন্য কঠোর সাধনায় ব্রতী হতে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, শৈশব থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জ্ঞান অন্বেষণ কর। তিনি তাঁর আরও অনেক বাণীতে জ্ঞান সাধনার জন্য মানুষ জাতিকে অনুপ্রাণিত করে গেছেন। যেমন মহানবীর ঘোষণা : ১। যে জ্ঞানান্বেষণ করে সে আল্লাহকে অন্বেষণ করে ২। যে ব্যক্তি জ্ঞান অন্বেষণে বহির্গত হয় সে স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় থাকে ৩। জ্ঞান চর্চা আল্লাহর কাছে নামাজ, রোজা, হজ ও জেহাদ অপেক্ষা অধিকতর পূণ্যকর কাজ। জ্ঞান সাধকের যথোপযুক্ত মর্যাদা প্রদান করতে মহানবীর দীপ্তকণ্ঠে ঘোষণা- জ্ঞান সাধকের দোয়াতের কালি শহিদের রক্তের চেয়ে পবিত্র।

ইসলামি জীবন দর্শনে নারী জাতিকে কখনও বৈষম্যমূলক দৃষ্টিতে দেখা হয়নি। বরং সর্বত্র নারী ও পুরুষের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা হয়েছে। মহাগ্রন্থ কোরআন স্বামী-স্ত্রীকে পরপরের সমতুল্য করে ঘোষণা করে বলেছেন-তোমরা একে অপরের ভূষণ স্বরূপ। অধিকন্তু স্ত্রীর সম্মানে মহানবীর বাণী- তোমাদের মধ্যে তারাই সর্বোত্তম যারা তাদের নিজ নিজ স্ত্রীর কাছে সর্বোত্তম। আবার মায়ের মর্যাদা প্রদান করে রাসূল (স.) ঘোষণা করেছেন, তোমাদের বেহেস্ত তোমাদের নিজ নিজ মায়ের পদতলে। নরনারীর পারস্পরিক অবস্থান সম্পর্কে ঐশীগ্রন্থ কোরআনে অনেক বাণী রয়েছে। যেমন- ১) তিনি সৃষ্টি করেছেন যুগল পুরুষ ও নারী খলিত শুক্রবিন্দু থেকে (৫৩ : ৪৫, ৪৬ )। ২) বিশ্বাসী হয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎকর্ম করবে আমি তাকে নিশ্চয়ই আনন্দপূর্ণ জীবন দান করব। আর তাদের কর্মের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দান করব (১৬ : ৯৭)। ৩) আমি তোমাদের মধ্যে কোন কর্মনিষ্ঠ পুরুষের বা নারীর কর্ম বিফল করি না। তোমরা পরপর সমান (৩ : ১৯৫ )। ৪) পুরুষ যা অর্জন করে তা তার প্রাপ্য আর নারী যা অর্জন করে তা তার প্রাপ্য (৪:৩২)। ৫। বিশ্বাসী নর-নারী একে অপরের বন্ধু (৯:৭১) ৬। আল্লাহ বিশ্বাসী নর ও নারীকে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন (৯ : ৭২)। পবিত্র কোরআনে বারবার মানুষকে পড়াশোনা করতে, জ্ঞানার্জনে ব্রতী হয়ে আল্লাহর সৃষ্টিকে গভীরভাবে অনুধাবন করতে বলা হয়েছে, কিন্তু কোথাও জ্ঞান শিক্ষার যোগ্যতা এককভাবে পুরুষদের দেয়া হয়নি। আর সে জন্য বিশ্বনবী দ্বিধাহীনভাবে ঘোষণা করেছেন, প্রত্যেক মুসলিম নর ও নারীর জন্য জ্ঞানার্জন করা ফরজ (অবশ্য কর্তব্য)। তাঁর অনুসারীরা মূর্খ হোক এমনটা কামনা করেননি আল্লাহর রাসূল। তাই তিনি সাবধান করে বলেছিলেন -মূর্খতা অপেক্ষা বড় দারিদ্র্য আর নেই। জ্ঞানীর নিদ্রা মূর্খের উপাসনা অপেক্ষা উত্তম।

এফএফ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ