আওয়ার ইসলাম: হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ভেঙে, তাদের মন্দির প্রতিমাকে আঘাত করে একটি কুচক্রী মহল সম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা, পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
কাবা শরিফের ছবির ওপর মূর্তির ছবি বসিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসানলয়ে পরিকল্পিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি গণতান্ত্রিক পথ পরিহার করে চোরাই পথে ক্ষমতা দখলের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। এরাই বরাবরের মত দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দিচ্ছে।
শুক্রবার (৪নভেম্বর) বিকালে সংসদ ভবনের নিজ কার্যালয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর চলমান তাণ্ডব পরিদর্শন শেষে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর এই বর্বর হামলা খুবই ন্যক্কারজনক। এই ধরনের হামলা ইসলাম ও মানবিকতা কখনও সমর্থন করে না। যদি এই হামলার পেছনে দলের কারও কোন তবে ইন্ধন থাকে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অচিরেই অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনার জন্য প্রশাসন কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর মাদরাসাসহ যে সব স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তারও তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আলেম উলামা ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উস্কানি দেওয়া এবং তাদের রাজনৈতিক ব্যবহারের জন্যই একটি কুচক্রী মহল এই হীন কাজটি করছে। আমি আলেম সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ করবো, সমাজে শান্তি সম্প্রীতি অব্যাহত রেখে আপনারা নিজেদের কাজ করে যান। কোন অপশক্তিই সমাজে সম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে পারবে না।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, মঈনুদ্দিন মঈন, উপজেলার চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, এহতেশামুল হক তানজিল প্রমুখ।
আরআর
যারা বলেন দেশে গণতন্ত্র নেই; তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়: মোকতাদির চৌধুরী