এম এ মান্নান, ফুলপুর
ময়মনসিংহের ফুলপুরে মোকামিয়া গুচ্ছগ্রামের দূর্ঘটনা কবলিত পরিবারের এতিম ও অসহায় শিশুদের লালন পালন, শিক্ষা দীক্ষার দায়িত্ব নিচ্ছে সমাজসেবা অধিদপ্তর।
জানা যায়, গত ঈদুল ফিতরের আগের দিন ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মোকামিয়া গুচ্ছ গ্রামের গার্মেন্ট কর্মী খোকন মিয়া, শামছুন্নাহার ছাইফুন, আজিজুল, সাগর, মোবারক ও মিনারা খাতুনসহ মোট ৬জন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে। এদের মধ্যে নিহত খোকনের অসহায় সন্তান বিলকিস (১৩), সাগর (৮), তানিয়া (৬) ও মোফাচ্ছেল (৩) দাদী সাহারা খাতুনের আশ্রয়ে আর জান্নাতুল (১০) তার নানীর কাছে গোয়াডাঙায় থাকে। অসহায় এসব শিশুদের করুণ জীবনযাপন সাংবাদিক বিল্লালের ক্যামেরায় ধরা পড়ে। বিষয়টি ২৪ অক্টোবর ফেইসবুকে পোস্ট করলে দয়াবানদের হৃদয় স্পর্শ করে। ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী, উপজেলা সমবায় অফিসার কামরুজ্জামান, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সায়েদুর রহমান বুধবার দুপুরে দুখি এসব এতিমদের মুখে হাসি ফোটাতে দ্রুত গুচ্ছগ্রামে চলে যান। সেখানে গিয়ে তারা তাদের গায়ে নতুন কাপড় পরিধান করিয়ে দেন আর খাদ্য তুলে দিয়ে মুখে হাসি ফোটান।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ জেলা উপ-পরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম গতকাল শনিবার উপজেলার মোকামিয়া গুচ্ছগ্রামে গিয়ে দূর্ঘটনা কবলিত পরিবারের এতিম ও অসহায় ৪জন শিশু যথাক্রমে বিলকিস (১৩), সাগর (৮), তানিয়া (৬) ও মোফাচ্ছেল (৩)কে লালন পালনের জন্য তাদের দাদী সাহারা খাতুনসহ সরকারী শিশু পরিবার ময়মনসিংহে নিয়ে যান।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন, ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী, উপ-তত্বাবধায়ক মোছাঃ নাজনীন নাহার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আসাদুজ্জামান, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সায়েদুর রহমান, বিটিভির ক্যামেরাম্যান রঞ্জন মজুমদার শিবু, ময়মনসিংহ প্রতিতিনের ম্যানেজার জোটন মিয়া, সাংবাদিক এম এ মান্নান, বিল্লাল হোসাইন প্রমুখ।
আরআর