আওয়ার ইসলাম: সারি সারি তাক আর হাজার হাজার বই। একেকটি লাইব্রেরী যেন স্তব্ধ মহাকাল। পড়ুন পৃথিবীর সেরা দশ লাইব্রেরীর নাম ও পরিচয়।
[caption id="attachment_15337" align="alignnone" width="1100"] বুয়েন্স আয়ার্স, আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সের এ লাইব্রেরিটি বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত। একসময় এটি ছিল একটি থিয়েটার। যেখানে আর্টিস্টরা মঞ্চে পারফর্ম করতেন। দর্শকরা তা উপভোগ করতেন। এখন সেখানেই রয়েছে বই পড়ার জায়গা। হাজারো বইয়ের সংগ্রহ। নানান চিত্রকর্ম, বারান্দা আর লাল রংয়ের পর্দা লাইব্রেরিটিকে করেছে অসাধারণ।[/caption]
[caption id="attachment_15338" align="alignnone" width="1100"] ওয়ান্ডারস ডি ব্রোরেন, নেদারল্যান্ডস
জ্ঞানলাভের জন্য লাইব্রেরিকে গীর্জার সঙ্গে তুলনা করা হয়ে থাকে। তাই নেদারল্যান্ডের এ লাইব্রেরিটি স্থাপন করা হয়েছে একটি চার্চে। ১৫ শতকের একটি ডোমিসিকান চার্চকে পরবর্তীতে রুপ দেয়া হয় ‘ওয়ান্ডারস ডি ব্রোরেন’ নামের লাইব্রেরিতে। তিনটি ফ্লোরে তৈরি করা লাইব্রেরিতে চার্চের আবহ বজায় রাখা হয়েছে। স্বচ্ছতা প্রকাশের জন্য পুরো ভবনে ব্যবহার করা হয়েছে কাচের জানালা।[/caption]
[caption id="attachment_15339" align="alignnone" width="980"] স্ট্রাহোভ অ্যাবে লাইব্রেরি, চেক প্রজাতন্ত্র ক্যামব্রীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. জেমস ক্যাম্পবেল এবং বিখ্যাত স্থপতি উইল প্রাইস এ লাইব্রেরিটি তৈরি করেন। পছন্দের নকশা দিয়ে এটিকে পরিনত করেছেন বিশ্বের অন্যতম সুন্দর লাইব্রেরিতে।[/caption]
[caption id="attachment_15340" align="alignnone" width="980"] পিবডি লাইব্রেরী, বাল্টিমোর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
এটা একটি অসাধারণ জায়গা। শিল্পযুগের একটি মন্দির ছিল ভবনটি। তবে এখানে এখন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে পিবডি লাইব্রেরি। যেখানে চোখ যাবে দেখা যাবে হাজার হাজার বই। লাইব্রেরি ভবনের ছয়টি ফ্লোরের নিচের অংশে রয়েছে কনসার্ট হল।[/caption]
[caption id="attachment_15341" align="alignnone" width="980"] মার্টন কলেজ লাইব্রেরি, অক্সফোর্ড, যুক্তরাজ্য
এ ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে ১৩৭৩ সালে। কিন্তু বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন একাডেমিক লাইব্রেরি হিসেবে ষোড়শ শতক থেকে এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক লাইব্রেরির মতো ততোটা সাজানো না হলেও অসাধারন সুন্দর।[/caption]
[caption id="attachment_15342" align="alignnone" width="980"] বদলেইয়ান লাইব্রেরি, অক্সফোর্ড, যুক্তরাজ্য
লাইব্রেরিটি শিল্পের একটি অন্যতম নিদর্শন। এখানে শিল্পের কারুকাজ পাঠকদের মনে সুন্দরের অনুভূতি তৈরি করতে পারে। তবে সম্পূর্ণ লাইব্রেরিটি প্রাচীন দেয়াল পদ্ধতিতে তৈরি করা।[/caption]
[caption id="attachment_15343" align="alignnone" width="980"] অ্যাডমন্ড অ্যাবে লাইব্রেরি, অ্যাডমন্ড, অস্ট্রিয়া
বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম লাইব্রেরি এটি। পুরো লাইব্রেরিজুড়ে শিল্পের ছাপ। বারান্দা ও সিঁড়িগুলো খুবই সাধারণ নকশায় তৈরি। রয়েছে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল ১৭৭৬ সালে নির্মিত এ লাইব্রেরিতে কোন পড়ার ডেস্ক নেই। কারণ লাইব্রেরিটি শুধুমাত্র দর্শনার্থীদের ভ্রমণের জন্যই উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।[/caption]
[caption id="attachment_15344" align="alignnone" width="980"] বিবলিওটেকা জোয়ানিনা, কোইমব্রা, পর্তুগাল
লাইব্রেরিটি সে যুগের নিদর্শন যখন পর্তুগাল ধন-সম্পদে পরিপূর্ণ ছিল। মনোরম এ লাইব্রেরিতে আলো প্রবেশের সুযোগ নেই। তবে সোনার পাতের কারুকাজ ম্যাজিকাল ঔজ্জ্বল্য সৃষ্টি করে এখানে। বই রাখার তাকগুলোতে রয়েছে রংয়ের কাজ। সে সঙ্গে পড়ার কক্ষকে আলাদা রাখতে রয়েছে প্রবেশের গোপন দরজা।[/caption]
[caption id="attachment_15345" align="alignnone" width="980"] এসকোরিয়াল লাইব্রেরি, স্পেন
১৫৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় লাইব্রেরিটি। সিলিংয়ে আঁকা ছবি, সুন্দরভাবে সাজানো বই আর সুন্দর কারুকাজে ভরপুর বুব শেলফস এ লাইব্রেরির বিশেষ বৈশিষ্ট্য।[/caption]
[caption id="attachment_15346" align="alignnone" width="980"] মারফা প্যালেস লাইব্রেরি, পর্তুগাল
৮৮ মিটার দীর্ঘ মারফা প্যালেস লাইব্রেরি বিশ্বের দীর্ঘতম লাইব্রেরিগুলোর একটি। লাইব্রেরিটি ১৭১৭ সালে তৈরি করা হলেও এর নকশা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। পরে এটি স্বর্ণের প্রলেপ লাগিয়ে তৈরি করা হয়। তবে পাঠক ছাড়া্ও এ লাইব্রেরির অন্য সদস্যরা হল বাদুড়। খোলামেলা লাইব্রেরিটিতে রয়েছে এদের অবাধ যাতায়াত।[/caption]
এফএফ