সাইফুল ইসলাম রিয়াদ
এশিয়া মহাদেশের অন্যতম আরেকটি দেশ হলো শ্রীলংকা। যা ভারত মহাসাগরের বুকে ভেসে উঠা একটি দ্বীপ। এই দ্বীপকে রাবণ রাজার দেশও বলা হয়। প্রথমে এই দ্বীপটির নাম ছিলো লংকা, পরে রাখা হলো সিংহল। বর্তমানে এর নাম শ্রীলংকা।
ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ডাচরা শ্রীলংকার দক্ষিণ ও পশ্চিম এলাকা দখল করে নেয়। ১৮০২ সালে সিংহল পৃথক হয়। ১৯৪৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীলংকা স্বাধীনতা লাভ করে। শ্রীলংকার সংখ্যালঘু তামিলরা আশির দশক থেকে বিচ্ছিন্নবাদীদের চরমপন্থি দলটি এলটিটিই' নামে পরিচিত।
এই উগ্রতার কারণেই শ্রীলংকা কখনো শান্ত, কখনোবা অশান্ত হয়ে উঠতো। যার ফলে শ্রীলংকা ভ্রমণে যেতে অনেকেই সাহস পেত না। শ্রীলংকার বর্তমান পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটাই শান্ত। ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এটি অপরূপ একটি দেশ।
এক নজরে শ্রীলংকা
রাষ্ট্রীয় নাম: ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট রিপাবলিক অব শ্রীলংকা।
রাজধানী: কলম্বো।
আয়তন: ৬৫,৬১০ কিলোমিটার।
জনসংখ্যা: ২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৭৭৬ জন।
শিক্ষার হার: ৯২.৩ শতাংশ।
মাথাপিছু বাৎসরিক আয়: ৪০০০ মার্কিন ডলার।
ভৌগলিক অবস্থান: এশিয়া মহাদেশের একটি দেশ।
ধর্ম: বৌদ্ধ ৬৯.১ শতাংশ, মুসলিম ৭.৬ শতাংশ, হিন্দু ৭.১ শতাংশ, খ্রিষ্টান ৬.২ শতাংশ এবং অন্যান্য ধর্মানুসারী ১০ শতাংশ।
ভাষা: সিংহলী, তামিল ও বিবিধ।
মুদ্রা: শ্রীলংকান রুপী।
সীমানা: শ্রীলংকার উত্তরে ভারত, ভারত ও শ্রীলংকার মধ্যে রামেশ্বর দ্বীপ, মান্নার দ্বীপ এবং কিছু খণ্ড খণ্ড উপদ্বীপ।
জনসংখ্যার ঘনত্ব: প্রতি বর্গকিলোমিটারে ঘনত্ব ৩০০ জন।
সরকার ব্যবস্থা: বহুদলীয় প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার এবং আইন পরিষদ বিদ্যমান।
আরআর