আওয়ার ইসলাম: টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলায় এমপির বিরুদ্ধে ফেসবুকে মন্তব্য করায় নবম শ্রেণীর স্কুলছাত্র সাব্বির শিকদারকে দেয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া দু’বছরের কারাদণ্ড বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া ওই কিশোরকে নির্যাতন এবং সাজা দেয়ায় জড়িত থাকার দায়ে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং সখিপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মাকছুদুল আলমকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে ‘বয় জেলড ফর এফবি কমেন্ট অ্যাবাউট এমপি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, টাঙ্গাইল-৮ বাসাইল-সখিপুর আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয় ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সেখানে বলা হয়, ফেসবুকে একটি আইডি থেকে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এমপির ওই জিডির ভিত্তিতে পুলিশ উপজেলার প্রতিমা বঙ্কি এলাকা থেকে ওই স্কুলছাত্রকে আটক করে।
পরে ১৮ সেপ্টেম্বর তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
কারাদণ্ডের আদেশের পর ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে ওই কিশোরকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেন সখিপুরের ওসি মাকসুদুল আলম।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান হাইকোর্টের নজরে আনেন।
প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করে তিনি আদালতে বলেন, প্রতিবেদনে দেখা যায়, টাঙ্গাইল-৮ আসনের এমপি অনুপম শাহজাহানকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়।
এ অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওই শিক্ষার্থীকে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
পরে আদালত ওই শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর করে সখিপুরের ইউএনও, ওসিকে তলব করেন। পাশাপাশি ওই শিক্ষার্থীকেও আদালতে হাজির থাকতে বলেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুই সরকারি কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থী সাব্বির আদালতে হাজির হন। সাব্বির আদালতে ঘটনার বিবরণ ও তার উপর নির্যাতনের বর্ণনা দেন।
অন্যদিকে ইউএনও এবং ওসি সাব্বিরকে সাজা দেয়ার পক্ষে আদালতে ব্যাখ্যা দেন। পরে আদালত আজ মঙ্গলবার আদশের দিন ধার্য করেন।
আরআর