আমিনুল ইসলাম হুসাইনী, সরাইল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মানিক মিয়া ওরফে 'হাতভাঙ্গা মাইনকা ডাকাত' (৩৬) নামের সন্দেহভাজন এক ডাকাত নিহত হয়েছে। পুলিশ বলছেন, মানিক মিয়া আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার ছিলেন। এলাকায় সে ‘হাতভাঙ্গা মাইনকা’ নামে পরিচিত ছিল।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মানিক নিহত হয়। মানিকের বাড়ি সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নে।
সরাইল থানার ওসি রূপক কুমার সাহা আওয়ার ইসলাম ২৪ ডটকমকে জানান, বুধবার রাত ১১টার দিকে মানিকের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল ডাকাত উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের লম্বাহাটি গ্রামে তিতাস নদীর পাড়ে এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় গ্রামবাসী চিৎকার শুরু করেন। একপর্যায়ে পুলিশ ওই গ্রামে যায়। সেখানে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ মানিক ও তার সাতজন সঙ্গীকে অস্ত্রসহ আটক করেন।
ওসি আরো জানান, মানিক মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সরাইল থানার একদল পুলিশ উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে তল্লাশির জন্য যাচ্ছিলেন। রাত একটার দিকে ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও এলাকায় একদল ডাকাত মানিককে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে ডাকাত ও পুলিশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলি বিনিময় চললে এক সময় ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে মানিক গুরুতর আহত হয়। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা মানিক মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলীম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমজাদ হোসেন ও শাহ আলম, কনস্টেবল রবিউল আলম ও ফারুক মিয়া আহত হয়েছেন। স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এফএফ