আওয়ার ইসলাম: ২২ বছর বয়সী ইরানি নারী জয়নাবের ফাঁসির আদেশ কার্যকর করবে যে কোনো মুহূর্তে। যদিও তার এ ফাঁসি নিয়ে আপত্তি তুলেছে অনেক মানবাধিকার সংস্থা। কিন্তু সেসবে কান দেয়নি ইরান। স্বামীকে হত্যার অভিযোগে তাকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলতে হচ্ছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে যখন তার স্বামী খুন হয় তখন জয়নাবের বয়স মাত্র ১৭। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, হত্যাকাণ্ডের সময় জয়নাব প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন না। সুতরাং তাকে ফাঁসি দেয়া অন্যায় হয়ে যাচ্ছে।
জয়নাব এর আগে অনাগত সন্তানকে হারিয়েছেন, হারিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের, যারা তাকে পরিত্যাগ করেছে। কারাগারের প্রকোষ্ঠে থেকেছেন দীর্ঘ বছর। আর এখন হারাচ্ছেন পুরো জীবনটাই।
১৫ বছর বয়সে ভালোবাসা এবং সুযোগের খোঁজে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে হোসেইন সারমাদিকে বিয়ে করেন। সারমাদি তার থেকে চার বছরের বড় ছিলেন। জয়নাবের বিশ্বাস ছিল, স্বামীর কাছে একটা ভালো জীবন পাবেন। কিন্তু ঘটেছে তার উল্টো। সারমাদির কারণে জীবনটা জয়নাবের কাছে আরো কঠিন হয়ে যায়। কিশোরী বধূ জয়নাবকে নিয়মিত অত্যাচার করতো সারমাদি। পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছিল জয়নাব। স্বামীর কাছ থেকে তালাকও চেয়েছিল সে। পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু কেউ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। মুক্তি উপায় খুঁজতে গিয়ে হতবুদ্ধি জয়নাব বাধ্য হয়ে স্বামীকে ছুরিকাঘাত করেন। পুলিশের কাছে সে নিজের অপরাধও শিকার করেছেন জয়নাব। কিন্তু পুলিশ বা আদালত তার এই অপরাধ ক্ষমাযোগ্য হিসেবে দেখেনি।
আরআর