মোরাদ খান
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩৩ লক্ষ মুসলমানের বসবাস যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক শতাংশ। আগামী দুই বা তিন দশকে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। আর ২০৪০ সাল নাগাত মুসলমানরা হবে যক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায়।
সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মীয় এক অনুষ্ঠানে সেন্টলুইসের বাসিন্দা ওয়ার রোজ আতকাস বলেন, তার মা একজন এমেরিকান খৃস্টান আর বাবা একজন টার্কিশ মুসলমান। মধ্যপন্থি মুসলমান বা রক্ষণশীল মুসলমান নামের মানুষ প্রয়াসই একে বিভক্ত করতে চায়।কিন্তু আসলে এতে অনেক বৈচিত্র বিদ্যমান। আমি মনে করি এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম নিয়ে এতো আলোচনা।
ভার্জিনিয়ার সোমালিয়ান এমেরিকান তরুণ মুসলমান মুহাম্মদ হুসেইন বলেন, অনেক সময় তরুণ মুসলমানদের একাধিক পরিচয় থাকে। এটি অবশ্যই কঠিন শুধুমাত্র মুসলমান বা এমেরিকান মুসলমান হিসেবে নয় সোমালি নাগরিক কৃষ্ণাঙ্গ অথবা তরুণ বয়সে বিভিন্নভাবে নিজেকে পরিচয় দিতে হচ্ছে।এটি সহজ নয় কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে আমি এখানে জন্মেছি আর এই ধর্ম চর্চা করতে করতেই বেড়ে উঠেছি। এই প্রক্রিয়া আমার জীবনের সঙ্গেই মিশে গেছে। আর আমার বাবা মায়ের মতো অভিবাসীদের কথায় ভাবুন। আপানাকে নানাভাবে খাপ খাওয়ানো শিখতে হবে। সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় থেকে এসে এখানে তারা সংখ্যালঘু হয়েছ।
প্যানেলিস্টরা অভিযোগ করেন, এখানে মুসলমানদের দ্বারা সংগঠিত যে কোন অপরাধ গণমাধ্যমে বেশি করে তুলে ধরা হয়। যেমনটি বলছিলেন জর্জ ওয়াশিংটন উনিভার্সিটির মুরসেল মুহাম্মদ- ‘আমার ধারণা যখনই কোন মুসলমান কোন ঘটনা ঘটায় তা গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়। তার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর ওই একই ঘটনা যদি কোন পশ্চিমার দ্বারা সংগঠিত হয় তাতে একই রকম প্রতিক্রিয়া হবে না।
ইরাকে জন্ম নেওয়া তরুণ ওসমান আল তালিব বললেন, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে তুলনা করলে মুসলমানদের অপরাধ সংগঠনের হার অনেক কম। তিনি বললেন, তরুণ তরুণীরা বেশির ভাগ সময় কম্পিউটারে থাকার কারণে অনেক সময় তারা অনলাইনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আমি সকলের প্রতি যে বার্তা দিতে চাই তা হচ্ছে আসুন আমরা তরুণ সম্প্রদায়কে একত্রিত করি। মসজিদে আসার আমত্রণ দেই। তাদেরকে মুসলমান সম্পদ্রায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আনার চেষ্টা করি। এবং অন্যান্য মানুষের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করি।
জঙ্গীবাদ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক এবং আলোচনার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রজন্মের মুসলমানেরা খানিকটা হতাশা গ্রস্থ এবং তারা মনে করেন তাদের মতামত প্রকাশ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় তাদের প্রতি আরো নজর দেওয়া উচিত।
ভিডিওটি দেখুন
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
আরআর