ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির উত্থাপিত সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি ছিল ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামের হত্যাকারীদের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হউক।’ প্রস্তাবটিতে ১০জন সদস্য সংশোধনী প্রস্তাব আনেন। এ ১০জনই অবিলম্বে এটি কার্যকর করার দাবি করেন।
যদিও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ইতিমধ্যে সম্পদ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দাবি করে ‘অবিলম্বে’ শব্দটি প্রস্তাব থেকে বাতিলের অনুরোধ করেন। পরে তার এ অনুরোধসহ সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি গ্রহীত হয় জাতীয় সংসদে।
সিদ্ধান্ত প্রস্তাবকারীর বক্তব্য শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার ব্যাখা প্রদানকালে বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সব স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে এদের বাংলাদেশে কোন সম্পত্তি রাখার অধিকার নেই। এটা আমি বিশ্বাস করি, দেশের মানুষ বিশ্বাস করে। এদের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি যা পাওয়া যাবে বাজেয়াপ্ত করা হবে। তবে বঙ্গবন্ধু নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করেছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, যখন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের উদ্যোগ নেয়া হলো, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন কোন বিশেষ আইনে নয়, সাধারণ আইনেই এ বিচার হবে।
আইনের ধারা বজায় রেখে এদের বিচার হয়েছে। বিচারে যারা দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন, যাদের ফাঁসির দন্ড কার্যকর হয়েছে অর্থাৎ তারা যখন মারা গেছেন তাদের সব সম্পদ ওয়ারিশদের হাতে চলে গেছে।
এজন্য ওই সম্পদ ফিরিয়ে আনতে নতুন আইন লাগবে। আর যারা পলাতক আছেন তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের জন্য আইনের প্রয়োজন নেই। আমি স্বস্তির সঙ্গে বলছি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সব স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু হয়ে গেছে।
আরআর