আওয়ার ইসলাম: স্বীকৃতিবিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করায় শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদকে অভিনন্দন জানিয়েছে কওমী শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদ। পরিষদের আহ্বায়ক মুফতি আবুল কাসেম ও সদস্য সচিব আল্লামা ইয়াহইয়া মাহমুদ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, কওমী মাদরাসার লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
কওমী মাদরাসার শিক্ষাব্যবস্থাপনা, শিক্ষাদানের বিষয় ও কওমী মাদরাসার শিক্ষাসনদের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে সুপারিশমালা প্রণয়নের জন্য গঠিত কমিশনের সুপারিশের আলোকে ‘বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠাকল্পে বর্তমান সময়ের আলোকে অধিকতর উপযোগীকরণের লক্ষ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক সুপারিশ/মতামত শিক্ষামন্ত্রণালয়ে দাখিলের জন্য আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে আহ্বায়ক ও মুফতি রুহুর আমীনকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করায় আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর মাওলানা মাসউদুল কাদির স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা নয়, সত্যিকার অর্থেই কওমী স্বকীয়তা বজায় রেখে যাতে সনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়িত হয় তাতে সবারই সহযোগিতা করা উচিৎ।
কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থীরা টিওশনি করার জন্য পড়াশোনা করছে না দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, আজ তো অনেকে কওমী শিক্ষার্থীদের টিওশনি মৌলভীর সঙ্গে তুলনা করছেন। বাস্তব্যে কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থীরা আল্লাহকে সন্তুষ্টির জন্যই পড়ালেখা করে থাকে। তবে কোনো স্বীকৃতি না থাকলেও সমাজে সম্মানের সঙ্গেই ধর্মীয় সব কাজে তাদের উপস্থিতি গোটা সমাজকেই আলোকিত করে রাখে।
অবিলম্বে স্বীকৃতির দাবি করে পরিষদ নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৬ সালের মধ্যেই স্বীকৃতি দিয়ে প্রায় বিশ লাখ শিক্ষার্থীর নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিন। বর্তমান সরকারেরই বরং ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
আরআর