আওয়ার ইসলাম : ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেছেন, বীজ থাকলে চারা গজাবেই।ইসলাম নামের বীজের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হচ্ছে কাওমী মাদ্রাসা। নাস্তিক্যবাদী অপশক্তির প্রচন্ড ভয়, ইসলামের এই বীজ কেন্দ্র থাকলে ইসলামের পুনঃজাগরন হয়ে যায় কি না? তাই তারা দেশ থেকে ইসলামের বীজকেন্দ্র নির্মূলের গ্রান্ড পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কাওমী মাদ্রাসা বিরোধী ষড়যন্ত্রমুলক রিপোর্ট করছে ও করাচ্ছে। ইসলাম বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত এক টিভি সাংবাদিক ইসলাম-বিনাশী এজেন্ডা নিয়ে কওমি মাদরাসায় গিয়ে কোমলমতি শিশু ছাত্রদের অনৈতিক, এলোপাথাড়ি প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে হলুদ সাংবাদিকতার নতুন নজীর স্থাপন করেছেন। এই নাস্তিক্যবাদী,দেশবিরোধীদের লক্ষ্য ইসলামী শক্তি নির্মূল করে দিয়ে বাংলাদেশের মেরুদন্ড চূর্ণ করে তাদের প্রভূ রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করা। এই লক্ষ্যর্জনে চিহ্নিত গুটিকয় টিভি, পত্র-পত্রিকা, ব্লগ, ফেসবুক যোগে লাগাতর হামলা করছে মহান আল্লাহ, রাসূল সাল্লালহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ইসলাম, মুসলমান, প্রকৃত ইসলামী শক্তি ও কাওমী মাদ্রাসার বিরুদ্ধে।
আজ সকাল ১০টায় লালবাগস্থ দলীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত উলামায়ে কেরাম ও দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে মুফতী ফয়জুল্লাহ এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ যখন নাস্তিক্যবাদী অপশক্তি এবং সন্ত্রাসবাদী নাশকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ, তখন নতুন করে সংকট সৃষ্টির অসৎ উদ্দেশ্যে ইসলাম ও রাষ্ট্রদ্রোহী নাস্তিক্যবাদী অপশক্তি মাদ্রাসা বিরোধী অপপ্রচার আরম্ভ করেছে । এই অপশক্তি দেশের সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় না। তারা সংকট তৈরি করে তা জিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু ৯২% মুসলমানের দেশে তাদের ইচ্ছা চিরকাল অপূর্ণই থেকে যাবে। অতীতের মতো এরাও ইসলামের কাছে নতি স্বীকারে বাধ্য হবে।
মুফতী ফয়জুল্লাহ আরো বলেন, বাংলাদেশের আলেম উলামা ও মুসলমানের অন্তরে নব জাগরণের সুপ্তশক্তি দেখে ইসলামের শত্রু শক্তি প্রচন্ড ভয় ও দুর্ভাবনায় নিপতিত। প্রচণ্ড ঈমানী শক্তিতে বলিয়ান মুসলমানরাই যে, দেশের বৃহৎ শক্তি- সে কথাটি ইসলামের শত্রুপক্ষের ঘুম হারাম করে দিয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা মনসুরুল হক, মাওলানা হেদায়েত উল্লাহ, মাওলানা সাদেকুল আমীন,মাওলানা মুজ্জাম্মেলুল হক, মাওলানা আবু ইউসুফ,মাওলানা শুয়াইব চৌধুরী,মাওলানা কাজী আজিজুল হক, মাওলানা আরিফুল হক,হাফেজ জুনায়েদ সাদেকী,মাওলানা জাকারিয়া প্রমুখ।
এফএফ