আওয়ার ইসলাম: ‘২৮বছর ধরে পোস্তায় চামড়ার আড়তে কাম করি। ঈদের সময় নিজেই টুকটাক ব্যবসা করি। মাথার চামড়া কিইন্যা লবণ মিশাইয়া রেডি মাল আড়তদারদের কাছে বেচি। গত বছর ৬০ টাকায় মাথার চামড়া কিইন্যাও লাভ করছিলাম। কিন্তু এইবার অর্ধেক দামে চামড়া কিননাও লাভের মুখ দেখুম কিনা সন্দেহ।’
বুধবার দুপুরে এভাবেই গত বছরের সঙ্গে এ বছরের চামড়ার দামের পার্থক্যের কথা জানাচ্ছিলেন মিরাজ মিয়া। কয়েকজন মিলে একসঙ্গে কেনা মাথার চামড়ায় লবণ লাগানোর কাজ করছিলেন। একটি চামড়াও যেন নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করছিলেন বার বার।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, হঠাৎ কইরা লবণের দাম লাফাইয়া লাফাইয়া বাইড়া গেছে। যেই লবণ প্রতি বস্তা (৭৫ কেজির বস্তা) গত ঈদে ৫০০ থাইক্যা ৬০০ টাকায় বিক্রি হইছে সেই লবণ আজ ১৮০০ থাইক্যা ২০০০ টাকায় বিক্রি অইতাছে। সাধারণ গরুর চামড়ার প্রতিটিতে ১ কেজি লবণ লাগাইতে অইতাছে। তবে কম দামে কিনতে পারলেও লবণের অতিরিক্ত দামের কারণে লাভের মুখ দেখুম কিনা সন্দেহ।
তিনি জানান, গত বছর ৪০ টাকার নীচে মাথার চামড়া কিনতে পারিনি। আর এইবার ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায় কিননাও দুঃশ্চিন্তায় আছি। চামড়া কেনার পর লবণের দাম বাইরা যাওয়াও একেকটি মাথার চামড়ায় খরচ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা পড়বো। কিন্তু আড়তদাররা দাম কইতাছে ৫০ টাকা।
মিরাজ মিয়া জানায়, বহু বছর ধরে ব্যবসা করায় আমরা না হয় কিছুটা অইলেও লাভের মুখ দেখুম কিন্তু যারা না বুইজ্যা চামড়া কিনছে অরা তো পুরাই ধরা।
সূত্র: জাগো নিউজ